নয়াদিল্লি: জুলাই মাসে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রায় ১২ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হবে। এমনটাই জানানো হল কেন্দ্রের তরফে। 


বৃহস্পতিবার, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, এই ১২ কোটির মধ্যে ১০ কোটি হবে কোভিশিল্ড ও ২ কোটি হবে কোভ্যাকসিনের ডোজ। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে বেশি টিকা উত্তরপ্রদেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে পাঠানো হবে ১ কোটি ৯১ লক্ষের বেশি ডোজ।


দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ ভ্যাকসিন। তৃতীয় স্থানে বিহার। তারা পাচ্ছে প্রায় ৯২ লক্ষ ভ্যাকসিন। 


চতুর্থস্থানে স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। এরাজ্যের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৯০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ। সূত্রের খবর, এই ৯০ লক্ষের মধ্যে ৭৫ লক্ষ কোভিশিল্ড ও ১৫ লক্ষের কিছু বেশি কোভ্যাকসিন পাঠানো হবে। 


জুলাই মাসে রাজ্যকে পাঠানো মোট ভ্যাকসিনের মধ্যে সাড়ে ২২ লক্ষ বেসরকারি হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ।


রাজ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই ভ্যাকসিনের আকাল রয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে কলকাতা পুরসভার বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বুধবার ভ্যাকসিনেশন হয়নি। কিছু কেন্দ্রে দুপুরের পর শুধু দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। 


কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। ভ্যাকসিনের এই আকাল নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত আরও চড়েছে।


এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে, এই অভিযোগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গতকাল ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। 


মমতা বলেন, আমরা ৫৯ কোটি টাকার ভ্যাকসিন কিনেছি। ৩ কোটি চেয়েছিলাম, কেন্দ্র অনেক কম দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ১৭ লক্ষ লোককে ভ্যাকসিন দিয়েছি।  অন্য অনেক রাজ্য বেশি ভ্যাকসিন পাচ্ছে।  বাংলার থেকে ছোট রাজ্যও বেশি পাচ্ছে।


গতকালই, ৫০ হাজার কোভ্যাকসিন ও ৪ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ রাজ্যে এসেছে। এদিন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ প্রচুর ভ্যাকসিন পাচ্ছে, আরও যাতে পায় তার জন্য অনুরোধ করেছি।’