নয়াদিল্লি: দেশের পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এদিন উত্তরপ্রদেশের সপ্তম তথা চূড়ান্ত দফার ভোটগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ভোটগ্রহণ সম্পর্ণ হয়েছে। এখন আগামী ১০ মার্চের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। ওই দিন পাঁচ রাজ্যের ভোট গণনা হবে। ১০ মার্চ ভোটের ফল ঘোষণার পর জানা যাবে কোন রাজ্যে কোন দল সরকার গড়তে চলেছে। তবে ভোটের আগে বুথ ফেরত সমীক্ষায় ফলাফলের একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সি ভোটারের সমীক্ষাতেও ফলাফলের একটা ইঙ্গিত জানা যাচ্ছে।


সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, পাঞ্জাবে এবার পালা বদলের ইঙ্গিত। কংগ্রেসের থেকে ক্ষমতা দখল করতে পারে আম আদমি পার্টি।সি ভোটারের Exit poll-এ ইঙ্গিত,পাঞ্জাব বিধানসভার ১১৭টি আসনের মধ্যে আম আদমি পার্টি একাই জয়ী হতে পারে ৫১ থেকে ৬১টি আসনে। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলার ইঙ্গিত।


২২ থেকে ২৮টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস। ২০ থেকে ২৬টি আসনে জয়ী হতে পারে শিরোমণি অকালি দল ও বিএসপি জোট।বিজেপি ও অমরিন্দর সিংহের দলের জোটের ঝুলিতে যেতে পারে মাত্র ৭ থেকে ১৩টি আসন।১ থেকে ৫টি আসন পেতে পারে অন্য দলগুলি।


সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, প্রাপ্ত ভোট শতাংশের নিরিখে,৩৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে আম আদমি পার্টি।কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ২৭ শতাংশ ভোট।২১ শতাংশ ভোট পেতে পারে শিরোমণি আকালি দল।এছাড়া বিজেপি-অমরিন্দর জোট ১০ শতাংশ ও অন্য দলগুলি ৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত।


সি ভোটারের Exit poll-এর ক্ষেত্রে সমীক্ষকরা কথা বলেছেন পাঞ্জাবেরর ১৬ হাজার ৫৩৩ জন ভোটারের সঙ্গে।মার্জিন অফ এরর - প্লাস মাইনাস ৩ শতাংশ।


বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত মিলে গেলে পঞ্জাবে যে কংগ্রেস ধাক্কা খাচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অমরিন্দর সিংহকে বদলে চরণজিৎ সিংহ চন্নীকে মুখ্যমন্ত্রী করে কংগ্রেস যে সাফল্যের আশা করছিলেন, তা সফল হয়নি বলেই ইঙ্গিত সি ভোটার সমীক্ষায়। অন্যদিকে, পঞ্জাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় সাফল্য মিলতে পারে অরবিন্দ কেজরীবালের দলের। তারা প্রথমবার রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে যেতে পারে। এমনই ইঙ্গিত সি ভোটারের সমীক্ষায়। 


পঞ্জাবে ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৭ আসন। অকালি দল ১৫ ও বিজেপি ৩ আসনে জয়ী হয়েছিল। আম আদমি পার্টি ২০ আসনে জয়ী হয়েছিল। অন্যদের দখলে গিয়েছিল ২ আসন।