নয়াদিল্লি: সেনায় নিযুক্তির 'অগ্নিপথ' প্রকল্প (Agnipath Scheme Protest) ঘিরে বিক্ষোভ চলছে গত তিন দিন ধরেই। ভাঙচুর, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছিলই, এ বার বিহারে আস্ত ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল। সেখানে মহিউদ্দিননগর স্টেশনে হাজিপুর-বরাউনি লাইনে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসের দু'টি কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সমস্তিপুরে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসেও বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা ট্রেন এবং ভিডিও ছবি সামনে এসেছে। তবে প্রাণহানির কোনও ঘটনা সামনে আসেনি।
'অগ্নিপথ' বিক্ষোভ ক্রমশ বড় হচ্ছে
বিহারের (Bihar) বক্সারে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেখানে একাধিক স্টেশনে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। পাটনাগামী জনশতাব্দি ট্রেন সেখানে ৩০ মিনিট আটকে রাখা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত বিহারে ৩৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ৭২টি ট্রেনের, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি এক্সপ্রেস ট্রেন. ২৯টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ১১টি ট্রেন আপাতত বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।
বিহার ছাড়াও, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশেও পরিস্থিতি তপ্ত। বিহারের আরা থেকে হরিয়ানার পালওয়াল, আগ্রা থেকে গ্বোয়ালিয়র, ইনদৌর, শয়ে শয়ে পড়ুয়া এবং চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁদের রাগ গিয়ে পড়েছে মূলত সরকারি সম্পত্তির উপরই। বিহারে ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বিজেপি-র এক বিধায়ককে লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার সেখানে ইটবৃষ্টি করেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার সকালে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় স্টেশনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। একটি ট্রেনে ভাঙচুর চালান তাঁরা। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাধে।
একাধিক জায়গায় ট্রেন বন্ধ, বাতিলও বহু
বিহারে মুঙ্গের গঙ্গা সেতু অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। পাটনা-ভাগলপুর হয়ে মুঙ্গের যাওয়ার রাস্তাটিকেও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। খাগারিয়ায় কোসি এক্সপ্রেস রুখে দেওয়া হয়েছে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে চলছে বিক্ষোভ। সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। মানসী-সহর্ষ, মানসী-কাটিহার রুটে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। মানসী থানাও ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ।