পাটনা: সেনায় নিযুক্তির 'অগ্নিপথ' প্রকল্প ঘিরে বিক্ষোভে এ বার রক্ত ঝরল (Agnipath Scheme)। সেকেন্দ্রাবাদে (Secunderabad) এক জনের মৃত্যু হল। গুরুতর আহত অন্তত ১৫ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ১৭ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আহতদের আপাতত স্টেশন সংলগ্ন গাঁধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 


সেকেন্দ্রাবাদে মৃত্যু এক ব্যক্তির, গুলি চালানোর অভিযোগ রেল পুলিশের বিরুদ্ধে


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে ঢুকে পড়েছিল বিক্ষোভকারীদের একটি দল। মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের  সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় পুলিশের। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১৭ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। 



কেন্দ্রীয় সেনায় নিযুক্তির জন্য আনা কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া প্রকল্প 'অগ্নিপথ' ঘিরে বিগত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। দেদার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। শুক্রবার সকাল থএকে পরিস্থিতি আরও চরমে উঠেছে। আর এদিনই বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা-সহ উত্তরের রাজ্যগুলি থেকে দক্ষিণের তেলঙ্গানাতেও ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আঁচ। সেখানে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়া এবং চাকরিপ্রার্থীরা। তার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ট্রেন চলাচল। প্রায় তিন ঘণ্টা এ ভাবে চলার পরই ক্রমশ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে খবর। 


আরও পড়ুন: Agnipath Scheme Protest: দাউদাউ করে জ্বলছে ট্রেন, অবরুদ্ধ জন শতাব্দি এক্সপ্রেস, 'অগ্নিপথ' বিক্ষোভে তপ্ত বিহার


শুধু সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনই নয়, এ দিন তেলঙ্গানা শহরের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাধে বিক্ষোভকারীদের। তার মধ্যেই গুলি চলার ঘটনা ঘটে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, লাঠিচার্জ করে, কাদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করা হয়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শেষমেশ গুলি চালাতে বাধ্য হয় জেনারেল রেলওয়ে পুলিশ (GRP)। 


বিক্ষোভে উত্তাল একাধিক রাজ্য


GRP মোট ১৭ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে দুই কনস্টেবলও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রেলওয়ে ডিজি সন্দীপ শাণ্ডিল্য এবং অন্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। সেখানে একটি ট্রেনের কয়েকটি কামরায় আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রেলের একাধিক সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। তবে গত দিন ধরে বিক্ষোভে এই প্রথম প্রাণহানি ঘটল।