নয়া দিল্লি : আজই সরকারিভাবে টাটা গ্রুপের (TATA Group) হাতে তুলে দেওয়া হবে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। এই হাত-বদল প্রক্রিয়ায় যোগদান করতে দিল্লি পৌঁছেছেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখর। এমনই খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের।
এক সিনিয়র সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, আজ দুপুরে অফিসিয়ালি টাটা গ্রুপকে হস্তান্তরিত করা হবে এয়ার ইন্ডিয়া। সরকারি এই প্রক্রিয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত থাকবেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ।
এয়ার ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল ম্যাসকট মহারাজা। যা দেশের অভ্যন্তরের পাশাপাশি বিদেশেও পরিষেবা দেয়। ২০২০-র তথ্য অনুযায়ী, ১০১টি গন্তব্যে যায় এয়ার ইন্ডিয়া। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ পরিষেবা থাকে ৫৭টি । পরিষেবা দেওয়া হয় বিশ্বের চারটি মহাদেশের ৩৩টি দেশে।
আরও পড়ুন ; আজ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ৪টি বিমানে এই পরিষেবা টাটার
গত বছর অক্টোবর মাসে নিলামে এহেন এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পায় টাটা সন্স। প্রায় ৬৯ বছর পর ফের টাটা গোষ্ঠীর হাতে আসতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ১৮ হাজার কোটি টাকা দাম দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা কেনে টাটা সন্স।
কোভিড পরিস্থিতি শুরু হওয়ায় ফের যাত্রীসংখ্যা কমে যায় বিমানের। নতুন করে নানা দেশ থেকে ভারতের বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যার জেরে মেইটেইন্যান্স কস্ট সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় এয়ার ইন্ডিয়াকে। যার ফলে নিলামে আরও কম বিডিং রাখা হয়।
বহুদিন ধরেই লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে যার-তার হাতে এই এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রিতে সহমত ছিল না সরকার। তাই বিক্রির ক্ষেত্রেও তৈরি করা হয়েছিল বেশ কিছু মানদণ্ড। সে ক্ষেত্রে বিমান পরিষেবার সঙ্গে কোম্পানির সরাসরি যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলিকে নিলামে অংশ নিতে কত বছর ও কোন কোন দেশে বিমান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিল, তারও উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছিল ।
এ ছাড়াও কোম্পানির ব্র্যান্ড, গুডউইল ও মার্কেট ভ্যালু জানানোর কথাও বলা হয়েছিল কোম্পানিকে। এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট ও পেনশনের বিষয়ে বিগত দিনে কোম্পানি কী ব্যবস্থা করেছে, তা জানতে চাওয়া হয় বিডিং প্রসেসে।