নয়াদিল্লি : বিমানযাত্রার ভাড়া একধাক্কায় বাড়ল ৩০ শতাংশ। ঘরোয়া বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে ভাড়াবৃদ্ধির কথা কেন্দ্রীয় সরকারের মিনিস্ট্রি অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন তথা অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অ্যাভিয়েশন সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমানের জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিমানের টিকিটের এই দামবৃদ্ধি। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, এই দামবৃদ্ধি আসলে রুটিন পরিবর্তন। বিভিন্ন পর্যায়ে ৫৬০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ছে বিমানযাত্রার।
মিনিস্ট্রি অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (এমওসিএ) জানিয়েছে, '১৮০ থেকে ২১০ মিনিটের বিমানযাত্রার পথে সর্বোচ্চ দর ১৮,৬০০ টাকা থেকে ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে ২৪,২০০ টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ৫৬০০ টাকা বাড়ছে। আর একেবারে কম সময়ের যাত্রাপথের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন যে বিমানযাত্রার দর তা বাড়ানো হচ্ছে ১০ শতাংশ। যার পরিমাণ ২০০ টাকা।'
বিমানভাড়া বৃদ্ধির পরিমাণ খুব বেশি না হলেও মধ্যবিত্তের উপর আরও কিছুটা চাপবৃদ্ধি বলেই বিষয়টিকে দেখছেন অনেকে। এমনিতেই দেশে রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রল-ডিজেল সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। তাই আর্থিক অস্বস্তি বর্তমান। তার উপর এই দামবৃদ্ধি আও একটু ভোগান্তি বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, করোনাকালে যাত্রার পরিমাণ কমে গেলেও মধ্যবিত্তের যাতায়াতর মানচিত্রে এখন ভালোভাবেই জুড়ে গিয়েছে আকাশপথও।
দেশজোড়া লকডাউনের জেরে গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিমানের উড়ান। প্রাথমিক করোনা ধাক্কা কাটানোর পর ২৫ মে থেকে যা ফের চালু হয়েছিল একাধিক বিধিনিষেধ মেনে। করোনাকালে পরিষেবা স্তব্ধ থাকার জেরে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছিল যে সেক্টরগুলি, তাদের মধ্যে অন্যতম অ্যাভিয়েশন। তবুও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে অসমারিক বিমান পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল বিমানভাড়ার সর্বোচ্চমাত্রা।
এবার অবশ্য বিমানভাড়া বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে বিমানের জ্বালানির দামবৃদ্ধি সহ একাধিক কারণের কথা জানানো হয়েছে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। বেশ কয়েকবার দামবৃদ্ধি বিষয়টি স্থগিত রাখার পর শেষমেশ এই সিদ্ধান্ত বলেই দাবি তাদের তরফে। বিভিন্ন পর্যায়ের নূন্যতম বিমানভাড়া বৃদ্ধির কথাও জানানো হয়েছে।