কলকাতা: কলকাতার দুর্গাপুজোয় মহাত্মা গাঁধীকে (Mahatma Gandhi) অসুর বানানো গিরে উত্তাপ রয়েছে এখনও। সেই আবহেই ফের খবরের শিরোনামে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা (Akhil Bharat Hindu Mahasabha)। এ বার ভারতের সব নোট থেকে মহাত্মা গাঁধীর পরিবর্তে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) ছবি বসানোর দাবি তুলল তারা।


এ বার নোট থেকে গাঁধীর পরিবর্তে নেতাজির ছবি বসানোর দাবি


সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা জানিয়েছে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান মহাত্মা গাঁধীর তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। তাই নোটে তাঁর ছবি থাকাই কাম্য। সংগঠনের নেতা চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গাঁধীর তুলনায় কম অবদান ছিল না নেতাজির। তাই মহান দেশপ্রেমিককে শ্রদ্ধা জানাতে নোটে ওঁর ছবি থাকাই কাম্য। গাঁধীজির ছবি সরিয়ে বসানো হোক নেতাজির ছবি।’’


চন্দ্রচূড়ের এই দাবির তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস। বাংলায় বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ দুই শিবিরেরই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘মহাত্মা গাঁধীর হত্যার পিছনে কে ছিলেন, তা আমরা সকলেই জানি। আজকাল প্রতিনিয়ত ওঁর আদর্শ এবং নীতির হত্যা ঘটছে। বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের উচিত প্রতিক্রিয়া জানানো।’’


আরও পড়ুন: ED on Tapas Manik: 'কাজের সুযোগ পাইয়ে দিয়েছেন মানিক', তাপসকে নিয়ে কী দাবি ইডির ?


দুর্গাদুর্গাপুজো" data-type="interlinkingkeywords">পুজোয় গাঁধীজিকে অসুর হিসেবে তুলে ধরার ঘটনাটি যদিও অনিচ্ছাকৃত ভাবেই ঘটেছে বলে দাবি চন্দ্রচূড়ের। তাঁর দাবি, সবটাই কাকতালীয় ভাবে ঘটে গিয়েছে। মহিষাসুরের মাথায় চুল রাখা হয়নি। মূর্তিতে ধুতি এবং চশমা পরানো হয়। তার জন্যই দেখতে মহাত্মা গাঁধীর মতো হয়।


চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য, ‘‘গাঁধীজিকে মহিষাসুর হিসেবে দেখানোর কোনও অভিপ্রায়ই ছিল না। গোটাটাই অনিচ্ছাকৃত ভাব ঘটে গিয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন যাঁরা, তাঁদের তা না কর উচিত।’’ আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাও লক্ষ্য রয়েছে বলে জানান চন্দ্রচূড়।


পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা


পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘বাঙালি হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তৃণমূল, বিজেপি দুই দলই।আমরা বাঙালি হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে লড়াই করব। কিছু বিজেপি বিধায়কদের মতো আমরা বাংলা ভাগ করতে  চাই না। আমরা রাজ্যের ভিত মজবুত করতে চাই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করব আমরা। মারকাটারি ফলও করব। জেলায় জেলায় কাজ করছে আমাদের সংগঠন।’’ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, তাঁরা কোনও সম্প্রদায় বা ধর্মের কথা মাথায় রেখে রাজনীতি করেন না।