নয়াদিল্লি: আগামীকাল সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এর একদিন আগে আজ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। এই সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, আনন্দ শর্মা, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, ডিএমকে-র টিআর বালু, টি শিবা ও এনসিপি-র শারদ পাওয়ার। বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ১০ টি ইস্যু তোলা হয়।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে বিষয়গুলি উত্থাপন করা হয় সেগুলির মধ্যে রয়েছে বেকারত্ব, জ্বালানি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, ন্যুনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-কে আইন পরিণত করা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করে তোলা, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণ বন্ধ করা এবং বিএসএফের কাজের পরিধি বৃদ্ধি, পেগাসাস ইস্যু, করোনা পরিস্থিতি, মহিলা সংরক্ষণ বিল।
সংসদের এই অধিবেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই অধিবেশনেই তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিল সরকার পেশ করবে। এই বিল নিয়ে ট্রেজারি বেঞ্চের সঙ্গে বিরোধীদের বাকযুদ্ধ চরমে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বিল প্রত্যাহার নিয়ে বিরোধীরা সরকারকে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র আক্রমণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও সংসদে কৃষি আইন নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সংসদ। আইন প্রত্যাহার নিয়েও একই ধরনের ঘটনার পুণরাবৃত্তি দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধীদের আক্রমণ ভোঁতা করার কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে কৃষি বিল নয় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে জোর বাকযুদ্ধ দেখা যেতে পারে।
আসন্ন অধিবেশনে বিরোধীরা পেগাসাস ইস্যু নিয়েও সরব হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে সরকার যে বিল আনতে চেয়েছে তাতে বলা হয়েছে, যদিও কৃষকদের একটা ক্ষুদ্র অংশই এই আইনগুলির বিরোধিতা করছে, কিন্তু সর্বাঙ্গীন বৃদ্ধির পথে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা প্রয়োজন।
বিল পেশের দিন দলের সমস্ত সদস্যরা যাতে উপস্থিত থাকেন সেজন্য হুইপ জারি করা হয়েছে বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। বিল নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধীরা কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করতে পারে। সেইসঙ্গে এমএসপি-কে আইন করার দাবির পক্ষেও সওয়াল করতে পারে।