নয়া দিল্লি : ভারতীয় সংবিধানের (Constitution of India) জনক ডঃ বি আর আম্বেদকর (Dr BR Ambedkar)। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ফি বছর ১৪ এপ্রিল পালিত হয় আম্বেদনকর জয়ন্তী বা ভীম জয়ন্তী। প্রসঙ্গত, বাবাসাহেব আম্বেদকর নামেও পরিচিত বি আর আম্বেদকর।


ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক, নৃতত্ত্ববিদ, আইনজ্ঞ এবং সমাজ সংস্কারক। যিনি দলিতদের অধিকারের জন্য এবং জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। এছাড়াও তিনি নারী ও শ্রম অধিকারের একজন শক্তিশালী সমর্থক ছিলেন।


১৪ এপ্রিল আম্বেদকর জয়ন্তী বা সাম্য দিবস হিসাবে পালিত হয়, সামাজিক অধিকারের প্রবক্তার জন্মবার্ষিকী স্মরণে। এ বছর দিনটি পড়েছে বৃহস্পতিবার।


আম্বেদকর জয়ন্তীর ইতিহাস- 


১৯২৮ সালে পুণেতে প্রথম আম্বেদকরের অনুগামী ও একজন সমাজকর্মী জনার্দন সদাশিব রানাপিসে ভীম জয়ন্তী পালন করেন। এই দিনটিতে দেশের ২৫টিরও বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকীকে আম্বেদকর জয়ন্তী হিসাবে উদযাপন করা শুরু করেন এবং তারপর থেকে ভারত প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল আম্বেদকর জয়ন্তী বা ভীম জয়ন্তীকে সরকারি ছুটির দিন হিসাবে স্মরণ করে।


আরও পড়ুন ; আজই সেরে নিন জরুরি কাজ, কাল থেকে ৪দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ এই শহরগুলিতে


আম্বেদকর জয়ন্তীর তাৎপর্য-


আম্বেদকর জয়ন্তীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী - সহ দেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতারা সংসদে আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 


বাবাসাহেব দেশে কৃষি ও শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য এবং শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। বিশেষ এই দিনটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মিছিল ও প্রতিযোগিতা, আম্বেদকরের জীবনের উপর ভিত্তি করে নাটক এবং নাট্য রূপান্তর অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটিকে বঞ্চিতদের উন্নয়নে বাবাসাহেবের অবদানকে চিহ্নিত করার জন্য পালিত হয়। এই দিনে, বাবাসাহেবের ভক্তরা মুম্বাইয়ের চৈত্য ভূমি এবং নাগপুরের দীক্ষা ভূমিতে শোভাযাত্রা করেন।