কলকাতা:  লোকসভায় (Lok Sabha) আলোচনার সময় তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, বিরোধীদের খুন-ধর্ষণ করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। অমিত শাহকে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল (TMC)।  দলের সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy) বলেন, “অন্যত্র কী হচ্ছে, তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের অনর্থক আক্রমণ করেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক পথেই চলি।”


লোকসভায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শাহের


বুধবার অধিবেশন চলাকালীন বাংলা নিয়ে মন্তব্য করেন শাহ। বলেন, “আমরা চাই সব রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতায় আসতে চাই। বিরোধীদের খুন করে, তাঁদের মা-বোনদের ধর্ষণ করে ক্ষমতায় আসতে চাই না।”


আরও পড়ুন: Mamata On Rampurhat : 'রামপুরহাটকাণ্ড বিজেপির বড় ষড়যন্ত্র' , প্রশ্ন তুলে তোপ মমতার


এক দিন আগেই দিল্লি পুরসভা সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। এ দিন লোকসভায় দিল্লি পুরসভা সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনার সময় তার পাল্টা তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন শাহ। বলেন, “কে চায় না সব জায়গায় নিজেদের সরকার গড়তে? আপনারাও তো গোয়া, ত্রিপুরায় গিয়েছেন। আপনারা যান, এতে আপত্তির কী রয়েছে? আপত্তি তাঁদের হতে পারে, যাঁদের মনে ক্ষমতা হারানোর ভয় রয়েছে। আমরা নির্বাচন, মতাদর্শের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চাই। কিন্তু বিরোধীদের কর্মীদের খুন করে, মা-বোনদের ধর্ষণ করে ক্ষমতায় আসতে চাই না।”


রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত


উল্লেখ্য, রামপুরহাটের (Rampurhat Fire) বগটুইকাণ্ডে (Bogtui Arson) বুধবারই বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতিকে আজ রিপোর্ট জমা দেয় দলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেখানে ঘটনার সঙ্গে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রতর যোগ থাকার অভিযোগ তোলা হয়। রিপোর্টে দাবি করা হয় যে,  সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ তৃণমূল সরকার। বালি, পাথর, কয়লা এবং অন্যান্য মাফিয়ার টাকা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাদের কাছে যায়।


রামপুরহাটে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড! ৯ জনের দগ্ধ হয়ে মৃত্যু। বারবার কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি (BJP)। শুভেন্দু অধিকারী ৩৫৬ ধারা জারির দাবি জানাচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে ২৪ পাতার রিপোর্ট জমা দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তার ১৯ নম্বর পাতায় দাবি করা হয়েছে যে, বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের পর, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যই, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগ নিশ্চিত করে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, শর্ট সার্কিট বা টিভিতে বিস্ফোরণের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।


যদিও  এই রিপোর্টের মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের ছক দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ওরা রিপোর্টে আমার জেলা সভাপতির নাম করেছে। এটা খুব খারাপ। তদন্ত না করে কী করে আমার জেলা সভাপতির নাম উল্লেখ করতে পারে? তার মানে ওকে গ্রেফতার করতে চায়! এটা তো ব্যক্তিগত শত্রুতার ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। সবাইকে গ্রেফতার করতে চায়।”