হায়দরাবাদ: স্কুলে অনেক সময়ই একে অপরের পেন বা পেনসিলের মতো জিনিস নিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। আসলে শিশুরা না বুঝেই অনেক কিছু কাজ করে। আর একে অপরের সঙ্গে এই ভাব-এই ঝগড়ার মধ্যে দিয়েই গড়ে ওঠে গভীর বন্ধুত্ব। এরইমধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায়, যা বেশ মজাদার। এমনই একটি ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিওটি দুই স্কুল পড়ুয়াকে না নিয়ে। সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এক স্কুল পড়ুয়া সটান হাজির হল থানায়। ওই স্কুল পডুয়া অভিযোগ করে যে, অনুমতি না নিয়েই তার সহপাঠী তার পেনসিল ব্যবহার করেছে। আর তা নিয়েই নালিশ করতে সে থানায় পৌঁছে গেল। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুলিশ ওই শিশুকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ব্যাপারটির সুরাহার চেষ্টা করতে। আর এই ভিডিও-টিই সোশাল মিডিয়ায় নজর কেড়ে নিয়েছে।
ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। ট্যুইটারে শেয়ার করা এই ভিডিওতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একদল ছাত্র কুরনুল জেলার পেড়া কাডুবুরু থানায় পৌঁছতে দেখা গিয়েছে। তাদেরই মধ্যে এক ছাত্রকে তার সহপাঠীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের কথা বলতে শোনা গিয়েছে ভিডিওতে। ভিডিওতে চেক শার্ট পরা এক ছাত্র সবুজ রঙের জামা পরা তারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। সে অভিযোগ করে, ওই সহপাঠী তার পেন্সিলের নিব চুরি করেছে। সেজন্যই সে পুলিশের কাছে বিহিত চাইতে এসেছে।
ভিডিওতে পুলিশ কর্মীদের ওই শিশুর অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনতে দেখা গিয়েছে। ওই শিশুটি বারবার এফআইআর দায়ের করার ওপরেই জোর দিতে থাকে। আর তা শুনে পুলিশ কর্মী তাকে আরও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলে। কারণ, এমন হলে অভিযুক্ত সহপাঠীকে জেলে চলে যেতে হবে। আর সে জীবনে মুশকিলে পড়ে যাবে। এরপর পুলিশ ওই শিশুদের বোঝায় এবং একে অপরের হাতও মিলিয়ে দেয়। এরপরও কিন্তু ওই শিশুটির তার সহপাঠীর ওপর রাগ পড়েনি। সে অভিযোগ দায়েরের জেদে অনড় থাকে। আর তার এই জেদ দেখে অন্য সহপাঠীরা হাসতে শুরু করে। হাত মেলানোর পরও ওই শিশু মামলা দায়ের করা এবং নিজের বাবা-মাকে ফোন করার জন্য জেদ দেখাতে থাকে। পুলিশ বুঝিয়ে বলে যে, ওই ছাত্র আর চুরি করবে না। পুলিশ অভিযুক্ত শিশুকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে এবং অন্যদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার পরামর্শ দেয়।
ভিডিওয়ে যে রকম আত্মবিশ্বাসে ওই শিশুকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে এবং যে বন্ধুত্বপূর্ণ আবহে পুলিশ কর্মীরা শিশুদের বোঝানোর চেষ্টা করছে, তা সোশাল মিডিয়ায় তারিফ আদায় করে নিয়েছে। অন্ধ্র পুলিশের এই ভূমিকাও সোশাল মিডিয়ায় প্রশংসা অর্জন করেছে। নেটিজেনরা অনেকেই তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, শিশুগুলির কথা বলার ধরন থেকেই বোঝা যায়, পুলিশ তাদের সঙ্গে কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ।