নয়াদিল্লি: বিক্ষুব্ধদের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই বলে হাত তুলে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজস্থান কংগ্রেসে (Rajasthan Congress Crisis) বিদ্রোহের নেপথ্য়ে তাঁরই উস্কানি রয়েছেন বলে একমত দলীয় নেতৃত্ব। তার জেরে আসন্ন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Election) থেকে ছিটকে গেলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত (Ashok Gehlot)। তাঁর পরিবর্তে শশী তারুর, মল্লিকার্জুন খড়্গে, দিগ্বিজয় সিংহদের নাম উঠে এল।


কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে বাদ গহলৌত


কংগ্রেস (Congress) সূত্রে খবর, গহলৌতের উপর বেজায় অসন্তুষ্ট দলীয় নেতৃত্ব। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi) যখন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে ব্যস্ত, সেই সময় দলের অন্দরে বিদ্রোহের আগুন জ্বালানোর পিছনে গহলৌতেরই হাত রয়েছে বলে মত তাঁদের। তাই সভাপতি হওয়ার দৌড়ে অশোকের প্রতি সমর্থন তুলে নিয়েছেন অনেকে।


গাঁধীদের বাদ দিয়ে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন করানোয় একমত হয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্ব। রাহুল গাঁধীর ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি চালু করাতেও সায় ছিল সকলের। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি হতে তোড়জোড় শুরু করে দিলেও, গহলৌত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না। বিশেষ করে যে সচিন পায়লটের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব, তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা মেনে নেননি গহলৌত।  


আরও পড়ুন: Gautam Adani Wealth: ধনীদের তালিকায় নামল গৌতম আদানির স্থান, সম্পদ কমল ৬.৯ বিলিয়ন ডলার, প্রথম দশে নেই মুকেশ অম্বানি


কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে রাহুলের শর্তেই রাজি বলে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন গহলৌত। কিন্তু তাঁর বিকল্প হিসেবে রাজস্থানে সচিনের নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই, দোনোমোনো করতে থাকতেন তিনি। রবিবার জয়পুরে দলীয় নেতৃত্ব যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পৌঁছন, সেইসময় অনুগামী বিধায়কদের গহলৌত তাতিয়ে তোলেন বলে অভিযোগ। তাতেই পায়লটকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিরুদ্ধে একযোগে ৮২ জন বিধায়ক ইস্তফাপত্রে স্বাক্ষর করে দেন।


গহলৌত যদিও বিক্ষোভের নিজের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছেন। জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। বিধায়করাই রেগে গিয়েছেন। কিন্তু গহলৌতের সেই ‘সাফাই’ মনে ধরেনি কংগ্রেস নেতৃত্বের। ফলে দলের অন্যতম অভিজ্ঞ নেতা, গহলৌতের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন সকলে। তার পরই গহলৌতের পরিবর্তে খড়্গে, দিগ্বিজয়ের নাম উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে কংগ্রেস সূত্রে।


বিদ্রোহের জন্য গহলৌতকেই দায়ী করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব


সভাপতি হওয়ার দৌড়ে নাম লেখাতে আগ্রহী ছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথও। সেই মর্মে দিল্লিতে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। কিন্তু তাতে সায় দেননি সনিয়া। নিজের রাজ্যে কমলনাথের দলের কাজে মন দেওয়া উচিত বলে জানিয়ে দেন।