নয়া দিল্লি : কাল, ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। কোন রাজ্যে কোন দল হাসবে শেষ হাসি ? তা জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। সেদিকে তো গোটা দেশের নজর থাকবেই, তার পাশাপাশি হেভিওয়েট প্রার্থীদের দিকেও নজর থাকবে সকলের। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের দিকে। দেখে নেওয়া যাক-এই দুই রাজ্যে নজরকাড়া প্রার্থী কারা ?
উত্তরপ্রদেশ-
কেশবপ্রসাদ মৌর্য : উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। সিরাথু কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ২০১২ সালে প্রথম বিজেপির হয়ে এই আসনে জেতেন তিনি।
চন্দ্রশেখর আজাদ : গোরক্ষপুর (আর্বান) আসন অন্যতম নজরকাড়া। এখানে দাঁড়িয়েছেন আজাদ সমাজ পার্টির সভাপতি ও ভিম আর্মির সুপ্রিমো চন্দ্রশেখর আজাদ। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
যোগী আদিত্যনাথ : গোরক্ষপুর আসনে বিজেপির প্রার্থী যোগী আদিত্যনাথ। ত্রিভুবন নারায়ণ সিংহ-র পর তিনি এই জেলার দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে গোরক্ষপুরের সাংসদ থেকেছেন যোগী। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার আগে পর্যন্ত।
অখিলেশ যাদব : উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সপা নেতা অখিলেশ যাদব এবার মইপুরী জেলার কারহাল কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। চোখ থাকবে তাঁর কেন্দ্রের দিকে। এই কারহাল কেন্দ্রটি মুলায়ম সিংহ যাদবের নির্বাচনী সংসদ ক্ষেত্র মইপুরীর অন্তর্ভুক্ত।
আজম খান : সপার টিকিটে লড়েছেন আজম খান। তাঁর রামপুর আসনের দিকেও নজর থাকবে। রামপুরের সাংসদ আজম খান একাধিক অভিযোগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জেলবন্দী। যদিও গত মঙ্গলবার জমি দখল মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
পাঞ্জাব-
প্রকাশ সিংহ বাদল : অন্যদিকে, পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিরোমণি অকালি দলের পৃষ্ঠপোষক প্রকাশ সিংহ বাদল লড়েছেন লম্বি আসন থেকে। ৯৪ বছরের বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক এবার জিতলে ষষ্ঠবার বিধায়ক হবেন।
ভগবন্ত সিংহ মান : ভগবন্ত সিংহ মানকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লড়েছে আম আদমি পার্টি। প্রাক্তন এই কমেডিয়ান দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফ্টার চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যেখানে বিচারক ছিলেন সিধু।
নভজ্যোৎ সিংহ সিধু : নজর থাকবে নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর দিকেও। বিজেপিতে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করলেও, এখন কংগ্রেসে প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। কপিল শর্মার শো ছাড়ার পর টেলিভিশনেও আর দেখা যায়নি সিধুকে। পুরোদস্তুর রাজনীতির ময়দানে তিনি।
অমরিন্দর সিংহ : অন্যদিকে রয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসার পর তিনি পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস গঠন করেন। কংগ্রেসে থাকালীন সিধুর কট্টর সমালোচক ছিলেন। যা পরে বাকযুদ্ধে পরিণত হয়েছিল।
চরণজিৎ সিংহ চান্নি : পাঞ্জাবের অন্যতম দলিত নেতা চরণজিৎ সিংহ চান্নি। এর পাশাপাশি তিনি এই রাজ্যের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রীও। অমরিন্দর সিংহের প্রস্থানের পর কংগ্রেস তাঁকে বেছে নেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে এবারও দেশের সবচেয়ে বড় বিধানসভায় ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি। সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটারের Exit poll-এ ইঙ্গিত, উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি আসনের মধ্যে ২২৮ থেকে ২৪৪টি আসনে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি ও তার সহযোগীরা। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও জয়ন্ত চৌধুরীর RLD জোট জিততে পারে ১৩২ থেকে ১৪৮টি আসনে। ১৩ থেকে ২১টি আসনে জিততে পারে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৪ থেকে ৮টি আসন। ২ থেকে ৬টি আসন যেতে পারে অন্যদের ঝুলিতে।
সি ভোটারের Exit poll-এ ইঙ্গিত, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও তার সহযোগীরা পেতে পারে ৪১ শতাংশ ভোট। ৩৪ শতাংশ ভোট যেতে পারে সমাজবাদী পার্টি- RLD জোটের পক্ষে।মায়াবতীর বিএসপি পেতে পারে ১৭ শতাংশ ভোট।৫ শতাংশ ভোট যেতে পারে কংগ্রেসের ঝুলিতে।এবং অন্যরা প্রায় ৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে উত্তরপ্রদেশে।