চেন্নাই : তাঁকে জোর করে ভ্যাসেকটমি ( এক ধরনের অস্ত্রোপচার যার মাধ্যমে শুক্রাণুবাহী নালিকা অংশত বা সম্পূর্ণ কেঁটে ফেলা হয়) করাতে বাধ্য করা হয়েছে। চার ব্যক্তি ও সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন ৪৭ বছরের এক কাঠুরিয়া। তামিলনাড়ুর রামনাথপুরমের সায়ালকুড়ির ঘটনা। থুথুকুড়ি জেলার ওই ব্যক্তি এই ঘটনা নিয়ে সুরাঙ্গুড়ি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। 


গত সোমবার সিথামণি নগরের মুথুসারমন চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের নাম- সুরভাল্লি, মুনিয়াস্বামী, কাসিলিঙ্গম, সেলভারাজ। এমনই খবর সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রের। অভিযোগে তিনি জানান, কাঠ কাটার কাছে সাহায্য চাইতে প্রথমে তাঁর কাছে চার জন আসেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি তারা তাঁকে সায়ালকুড়ির স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং জোর করে তাঁকে ভ্যাসেকটিমের জন্য বাধ্য করা হয়।


আরও পড়ুন ; হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে সুইসাইড নোট, সল্টলেকে পুলিশ আবাসনের ১১ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু কলেজ পড়ুয়ার


এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁকে ১ হাজার ১০০ টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি বলেন, অস্ত্রোপচারের পর থেকে তিনি ক্লান্ত এবং অস্বস্তি বোধ করছেন।  


তবে, পিএইচসি-র চিকিৎসক জানিয়েছেন, মুথুসারমনের অনুমতি নিয়েই এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং নো-স্ক্যাল্পেল ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী আবার ক্লিনিকে এসেছিলেন এবং তাঁদের কাউন্সেলিং করা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।


চিকিৎসক আরও বলেন, তাঁরা ভ্যাসেকটমির জন্য কাউকে জোর করছেন না। তবে তিনি এটা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, যেসব কর্মী ভ্যাসেকটমির জন্য লোক নিয়ে আসেন তাঁদের দেড়শো টাকা করে দেওয়া হয়। 


প্রসঙ্গত, অনেকেই সায়ালকুড়ির প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। কারণ, এটি রাজ্যের অন্যতম সেরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তবে কিছু লোক মদ্যপ এবং নিরক্ষরদের অর্থের লোভ দেখিয়ে এই পদ্ধতিটি সম্পাদন করার জন্য প্রলুব্ধ করে, এমনই অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সুরাঙ্গগুড়ি থানার পুলিশ।