কলকাতা: আগামী ২১ জুলাই রাজ্য সহ গোটা দেশে পালিত হবে বকরি ইদ। 


এবার দিল্লির আকাশ মেঘে ঢাকা থাকায় জামা মসজিদ থেকে চাঁদ দেখা যায়নি। তবে, লখনউয়ের মরকাজি চাঁদ কমিটি ফরঙ্গি মহলির মৌলানা খলিদ রশিদ জানান, সেখান থেকে জুল হিজ্জা চাঁদ দেখা গিয়েছে। 


প্রথা অনুযায়ী, চাঁদ দেখার পর দশম দিনে হয় বকরি ইদ। জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ অনুযায়ী, জুল হিজ্জা মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে ১২ তারিখ। ফলত, বকরি ইদ হবে ২১ তারিখ।


প্রসঙ্গত, বকরি ইদ হল ইসলামীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় সরকারি ছুটির দিন। প্রথমটি হল ইদ-উল-ফিতর। যেখানে ইদ-উল-ফিতর পবিত্র রমজান মাসের শেষ ঘোষণা করে, সেখানে বকরি ইদ বার্ষিক হজযাত্রার শেষ ঘোষণা করে। 


ইসলামীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, নবী ইব্রাহিম একবার স্বপ্ন দেখেছিলেন, ঈশ্বরকে খুশি করতে তিনি তাঁর পুত্র ইসমাইলকে বলি দিচ্ছেন। পরে, ইব্রাহিম যখন সেই স্বপ্নের কথা ছেলেকে বলেন, তখন ইসমাইল বাবাকে বলেন, ঈশ্বরের ইচ্ছাপূরণ করতে। 


ইব্রাহিমের ভক্তি দেখে সন্তুষ্ট হন আল্লাহ। তিনি তাঁর দূত গেব্রিয়েল বা জিব্রিলকে পাঠান ইব্রাহিমের কাছে। গেব্রিয়েল ইব্রাহিমকে বলেন, আল্লাহ তাঁর ভক্তি দেখে খুশি হয়েছেন এবং তাঁর জন্য একটি ভেড়া পাঠিয়েছেন। 


ইব্রাহিমকে গেব্রিয়েল বলেন, ছেলের জায়গায় ওই ভেড়াকে বলি দেওয়ার জন্য। সেই থেকে বকরি ইদ পালিত হয়ে আসছে। এই দিন ভেড়া ও ছাগ বলি দেওয়া হয়। 


জুল হিজ্জা মাসের নবম দিন হজদিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। দশম দিন পালিত হয় ইদ-আল-আধা বা বকরি ইদ হিসেবে। এই দিনকে অনেকে ইদ কুরবান বা কুরবান বায়ারামি হিসেবেও উল্লেখ করে থাকেন।


ইদ-আল-আধায় আল্লার প্রতি ইব্রাহিমের ভক্তির কথাই বলা হয়েছে। সেই ভক্তি, যেখানে তিনি ঈশ্বরের কাছে নিজের ছেলেকে বলি দিতেও রাজি ছিলেন। 


যে কারণে, এই ইদ-আল-আধা বলিদানের উৎসব হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।