নয়াদিল্লি:  করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে  ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের   (intranasal booster dose) পরীক্ষার অনুমতি পেল ভারত বায়োটেক। করোনা টিকার এই বুস্টার ডোজ নাক নিয়ে নেওয়া যাবে। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভারত বায়োটেককে  ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। 


জানা গেছে, এই বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নয়টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন যে, দেশে খুব শীঘ্রই করোনা ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে। 


চলতি মাসের গোড়াতেই সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছিল যে, সময়োচিত পরীক্ষা পর্বের পর  ভারতে মার্চের মধ্যেই আসতে পারে ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিন। 
হায়দরাবাদের এই ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি ইতিমধ্যেই যারা করোনা প্রতিরোধী কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছে, তাদের জন্য এই বুস্টার ডোজের প্রস্তাব দিয়েছে। 



জানা গেছে, ভারত বায়োটেক এই ন্যাজার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা ৫ হাজার সাবজেক্টের ওপর করার লক্ষ্য নিয়েছে। এই পাঁচ হাজার সাবজেক্টের মধ্যে অর্ধেক হবে কোভিশিল্ড টিকা প্রাপক ও বাকি অর্ধেক হবে কোভ্যাক্সিন টিকা প্রাপক।  সূত্রের খবর, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের মধ্যে ব্যবধান হবে ছয় মাস। এর আগে গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তাদের ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার অনুমতি চেয়েছিল ভারত বায়োটেক।


নাকের মাধ্যমে প্রয়োগের সুবিধাযুক্ত এই ভ্যাকসিনে সময় সুবিধা হবে শিশুদের। এ ধরনের টিকার ডোজ এলে শিশুদের টিকাকরণের সময় ইঞ্জেকশন নেওয়ার ভয় থাকবে না। বর্তমানে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমেই করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের  ছড়িয়ে পড়া ও সংক্রমণ দুটি রোখার ক্ষেত্রে কার্যকরী। কারণ, এই টিকা ব্যবহারের জন্য ইঞ্জেকশেন দিতে হয় না। সূত্রের খবর, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষায় মোট যথাক্রমে ৪০০ ও ৬৫০ জনের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল।


উল্লেখ্য, গতকালই ডিসিজিআই কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড-এই দুটি করোনা টিকাকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জরুরি পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য শর্তসাপেক্ষে খোলা বাজারে নিয়ে আসার অনুমতি দিয়েছে।