নয়াদিল্লি: বারবার নির্বাচনে হার। লোকসভা থেকে বিধানসভা, সব ক্ষেত্রেই প্রায় খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। তার উপর দলে ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে বিদ্রোহ। গত বেশ কয়েক মাসের মধ্যে দল ছেড়েছেন একের পর এক বরিষ্ঠ নেতা। প্রায় সবক্ষেত্রেই তাঁদের নিশানায় ছিলেন রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi) এবং দলের পরিচালনা।
এর মধ্যেই দেশজুড়ে 'ভারত জোড়ো' কর্মসূচি শুরু করল কংগ্রেস। বুধবার, তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে রাহুল গাঁধী এবং কংগ্রেসের (Congress) বাকি নেতারা এই কর্মসূচি শুরু করেছেন। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে ১৫০ দিন ধরে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালাবে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়ে উত্তর দিকে ক্রমশ এগোবে কংগ্রেসের এই যাত্রা। এদিন কন্যাকুমারীতে এই কর্মসূচি শুরুর সময় রাহুল গাঁধীর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
কোন কোন পথে এই যাত্রা?
- তিরুঅনন্তপুরম
- কোচি
- নীলাম্বুর
- মাইসুরু
- বেল্লারি
- রায়চূড়
- ভিকারাবাদ
- নানদেদ
- জলগাওঁ
- ইন্দোর
- কোটা
- আলওয়ার
- বুলন্দশহর
- দিল্লি
- আম্বালা
- পাঠানকোট
- জম্মু হয়ে শ্রীনগর
কতটা রাস্তা পরিক্রমা:
কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো' যাত্রা সারা দেশজুড়ে ঘুরবে। ওই যাত্রা ৩৭৫০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরবে। ১২টা রাজ্য জুড়ে ঘুরবে কংগ্রেসের এই যাত্রা।
এদিন কর্মসূচি শুরুর আগে শ্রীপেরুমবুদুরে (Sriperumbudur) রাজীব গাঁধীর স্মৃতিস্তম্ভে মাল্যদান করেন রাহুল গাঁধী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা ডি শিবকুমার। ১৯৯১ সালের ২১ মে এই শ্রীপেরুমবুদুরে বোমা হামলায় প্রাণ গিয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং রাহুস গাঁধীর বাবা রাজীব গাঁধীর।
লক্ষ্য কি আগামী লোকসভা:
২০২৪ সালেই পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দেশব্যাপী এই কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে এই কর্মসূচি শুরু করেছে কংগ্রেস।
সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী এই কর্মসূচি চলাকালীন কন্টেনারে থাকবেন রাহুল গাঁধী। সেই কন্টেনারে থাকবে বিছানা, শৌচাগার এবং এসি। ওই কর্মসূচির সময় কোনও নেতা হোটেলে থাকবেন না বলেও খবর।
আরও পড়ুন: চিনের আতঙ্ক ভারতে ! বুধে ফের পতন বাজারে, কততে থামবে নিফটি ?