নয়াদিল্লি: সারা দেশ জুড়়ে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা। আগে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বাবা রাজীব গাঁধীর স্মৃতিসৌধে মাল্যদান করেন রাহুল গাঁধী। 'ভারত জোড়ো যাত্রা' শুরুর আগে টুইটে বিশেষ বার্তাও দেন রাহুল।
টুইটে কী বার্তা:
এদিন রাহুল গাঁধী টুইটে লেখেন, 'ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির কারণে আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। একই কারণে আমি আমার দেশকে হারাতে পারব না। ভালবাসা ঘৃণাকে জয় করবে। আশার কাছে হারবে ভয়।'
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) শ্রীপুরুমবুদুরেই এলটিটিই-এর আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর। ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর আগে সেখানেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিসৌধে যান রাহুল।
এর পরেই তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে চলে যান রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। বুধবার সেখান থেকেই শুরু হয় কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা। কংগ্রেসের দাবি, ভারতে এতবড় রাজনৈতিক যাত্রা আর কখনও হয়নি। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে কংগ্রেসের। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ। ২০২৪ সালেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ঠিক সেই অভিযোগ সামনে রেখেই এই যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। সম্প্রতি একাধিক বরিষ্ঠ নেতা কংগ্রেস ছেড়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন কিছু নবীন প্রজন্মের নেতাও। ফলে আগামী নির্বাচনের আগে দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্যও রয়েছে কংগ্রেসের। পাশাপাশি কংগ্রেসের দাবি, 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলির নিয়ে প্রচারও তাঁদের লক্ষ্য থাকবে। কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো' যাত্রা সারা দেশজুড়ে ঘুরবে। ওই যাত্রা ৩৭৫০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরবে। ১২টা রাজ্য জুড়ে ঘুরবে কংগ্রেসের (Congress) এই যাত্রা। বুধবার এই যাত্রার সূচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কন্যাকুমারী (Kanyakumari) থেকে হাঁটা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: শুরু 'ভারত জোড়ো যাত্রা', কন্টেনারে রাত্রিবাস রাহুলের