পটনা: নয়াজোট সরকারের শক্তিপরীক্ষা বিহার বিধানসভায় (Bihar Assembly)। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar), তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। তার আগে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) নেতাদের বাড়িতে সিবিআই হানা। ইউপিএ-১ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad YAdav)। সেই সময় রেলের প্রকল্পে জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়া সাধারণ মানুষকে। তাতে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ নিয়েই বুধবার পটনা-সহ একাধিক জায়গায় বেছে বেছে লালুর দলের নেতাদের বাড়িতে সিবিআই (CBI) পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। 


বিহার বিধানসভায় আস্থাভোট, তার আগে সিবিআই হানা আরজেডি-র ঘরে


দু'সপ্তাহ আগেই বিজেপি-র (BJP) সঙ্গে জোট ছিন্ন করেন নীতীশ কুমার। সংযুক্ত জনতা দলের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে লালুপুত্র তেজস্বীর সঙ্গে হাত মেলান নতুন করে। কংগ্রেস-সহ সাতটি দলের সমর্থনে বিহারে ফের 'মহাজোট সরকার' গঠন করেন নীতীশ। বুধবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে তাঁদের। তার আগেই সিবিআই হানার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ নীতীশ-তেজস্বীদের। এখনও পর্যন্ত যে খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, আরজেডি-র রাজ্যসভা সাংসদ আহমেদ আশফাক করিম, বিধান পরিষদের সদস্য ফৈয়জ আহমেদ এবং সুনীল সিংহের বাড়িতে পৌঁছেছে সিবিআই। সুনীল সিংহ আরজেডি-র কোষাধ্যক্ষও।



আরও পড়ুন: Nitin Gadkari: সময়ে সিদ্ধান্তগ্রহণে ব্যর্থ সরকার, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী


লালুজায়া রাবড়ি দেবী বলেন, "ওরা ভয় পেয়েছে। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিজেপি ছাড়া সব দল আমাদের পাশে। আমাদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আমাদের ভয় দেখাতে সিবিআই হানা। আমরা ভয় পাব না। এই প্রথম বার এমন হচ্ছে না।"


সুনীল সিংহ বলেন, "ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘটানো হচ্ছে। এর কোনও মানে হয় না। ভাবছে, ভয়ে আমাদের বিধায়করা ওদের পক্ষে চলে যাবেন।" আরজেডি-র একজন মুখপাত্র গতকাল রাতেই যদিও জানান যে, বিহারে ক্ষমতা হারিয়ে খেই হারিয়ে ফএলেছে বিজেপি। সিবিআই, ইডি, আয়কর পাঠিয়ে বদলা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 'কালকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ' বলেও মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি। এর পরই সকাল হতে সিবিআই হানার খবর সামনে আসে।


আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, "সিবিআই-ইডি হানা বলা অর্থহীনষ আসলে এটা বিজেপি-র হানা। ওই দুই সংস্থা এখন বিজেপি-র অধীনে কাজ করে। বিজেপি-র চিত্রনাট্য মেনেই তাদের কাহিনি এগোয়। আজ আস্থআভোট আর আজ কী হচ্ছে এখানে? এটা এখন গা সওয়া হয়ে গিয়েছে।"


রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ বিজেপি-র বিরুদ্ধে


সেই আবহে এ দিন বিহার বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখায় নীতীশ ও তেজস্বীর শরিক দলগুলি। বিধানসভার স্পিকার বিজয়কুমার সিন্হার ইস্তফা দাবি করে তারা। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন সিন্হা। আট-থেকে ন'জনই অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাই ইস্তফা দিতে রাজি হননি। যদিও বিক্ষোভের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেন। আরজেডি-র প্রবীণ নেতা অওয়ধ বিহারি চৌধরি বিহার বিধানসভার পরবর্তী স্পিকার হচ্ছেন বলে খবর।