নয়াদিল্লি: করোনা কালে নয়া সংসদ ভবন নির্মাণ (New Parliament Construction) প্রকল্প ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’য় (Central Vista Project) কোটি কোটি টাকা ঢালা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বেশ কিছু দিন ধরেই। তার মধ্যেই পরিবেশ নষ্টের মাসুল বাবদ খরচ বাড়ল এই প্রকল্পের। প্রস্তাবিত নতুন সংসদভবন চত্বরে উপরাষ্ট্রপতি ভবনের জন্য বরাদ্দ জমিকে নির্মাণের আওতা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। কারণ সেখানে থাকা গাছগুলি কেটে ফেললে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন পিরবেশবিদরা। তাই সেখানে থাকা গাছগুলিকে অন্যত্র সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তাতেই বাড়তি খরচ যোগ হচ্ছে।


গত ১৪ জানুয়ারি এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (Central Public Works Department / CPWD)। তাতে বলা হয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি ভবনের জন্য বরাদ্দ ওই জায়গায় ৭১৭টি গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৩২১টি গাছকে সেখানেই রেখে দেওয়া হবে। বাকি ৩৯৬টি গাছকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে অন্যত্র। ওই ৩৯৬টি গাছের মধ্যে ১৩৫টিকে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’-র এদিক ওদিকই নতুন করে বসানো হবে। নিজেদের খরচে বাকি ২৬১টি গাছকে বদলপুরের এনটিপিসি ইকো পার্কে বসাবে সিপিডব্লিউডি।


আরও পড়ুন: Multibagger Stock Tips: ১ লক্ষ টাকা তিন বছরে ৭৩ লাখ, কোন 'জাদুবলে' সম্ভব হল রিটার্ন ?


নির্মাণকার্যের জন্য গাছ কাটা হলে, ক্ষতিপূরণ বাবদ গাছ লাগানো এবং জরিমানা দেওয়াই নিয়ম। সেই দিল্লি গাছ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৪-এর ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায়, জনস্বার্থে ৬.৬৩ হেক্টর জমি নির্মাণকার্য থেকে বাদ রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ হাজার ৯৬০ চারা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো এনটিপিসি ইকো পার্কে নিম, পিপল, অর্জুন-সহ বিভিন্ন গাছের চারা বসানো হবে। জরিমানা বাবদ জমা দেওয়া হবে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা, যাতে আগামী সাত বযর পর্যন্ত ওই গাছগুলির পরিচর্যা করা যায়।


উপরাষ্ট্রপতির জন্য প্রস্তাবিত ভবনের নির্মাণকার্যে আপত্তি পরিবেশ কর্মীদের, নর্থ ব্লক এবং রাষ্ট্রপতি ভবনের ঠিক পাশেই সেটি। তার জন্য ২১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে আগেই।


‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’র আওতায় নতুন সংসদভবনের পাশাপাশি, সেক্রেট্য়ারিয়ট ভবন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির নতুন বাসভবন নির্মিত হচ্ছে। নতুন করে সাজানো হচ্ছে রাজপথের তিন কিলোমিটার। ৫১টি মন্ত্রকের জন্য নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে, যাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মন্ত্রকগুলিকে এক এলাকায় আনা সম্ভব হয়। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পে ১ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।