জম্মু: অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টি। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫, নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। সেনাবাহিনী ও ITBP জওয়ানদের পাশাপাশি উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে NDRF। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরের অমরনাথ গুহার কাছে হঠাত্‍ শুরু হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যায় পুণ্যার্থীদের ২৫টি ক্যাম্প। পুণ্যার্থীরা জানিয়েছেন, মিনিট দশেকের মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে যান বেশ কয়েকজন। জলের তোড়ে নেমে আসে বড় বড় পাথর। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। পরিস্থিতি নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। দুর্ঘটনা সম্পর্কে খবরাখবরের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে NDRF।


টাটকা উত্তরাখণ্ডের স্মৃতি...


অমরনাথের ঘটনা ২০১৩ সালের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি অনেকের মনে ফিরিয়ে আনছে। তুমুল বৃষ্টিতে সে বার বানভাসি হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের নটি জেলা। হড়পা বানের ধাক্কায় কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল কেদারনাথ। ব্যাপক ধস ও জলের তোড়ে কাতারে কাতারে মানুষ চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিলেন। বস্তুত উত্তর ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের তালিকায় নাম উঠেছিল ২০১৩ সালের ওই ঘটনার। যদিও সেটাই শেষ নয়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতেও ফের একই রকম আতঙ্কের আবহ ফেরে। সেবারও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তুষারধস নামে উত্তরাখণ্ডে। প্লাবিত হয় অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদী। তাতে ধৌলিগঙ্গার দুটি নির্মীয়মাণ বাঁধে ফাটল ধরে, বান ডাকে জোশীমঠে। নির্মীয়মাণ ঋষিগঙ্গা ও তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তুমুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু মানুষের প্রাণহানির খবর মেলে।  


প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রবল বর্ষণের সঙ্গেই বালতাল বেস ক্যাম্পে মেঘভাঙার ঘটনা ঘটে। তাতে একাধিক লঙ্গর ও তাঁবু ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়। কাশ্মীর পুলিশ, আইটিবিপি ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে তৎক্ষণাৎ হাত লাগায়। এই মুহূর্তে সেখানকার সমস্ত ফোনলাইন বিপর্যস্ত। যাত্রাপথের অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত।