জম্মু: রাত যত বাড়ছে, অমরনাথের (amarnath) বিপর্যয়ে মৃতের তালিকা ততই দীর্ঘ হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলের ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। তবে এতেই থেমে থাকবে না মৃতের পরিসংখ্যান (death), আশঙ্কা প্রশাসনের। 


টাটকা উত্তরাখণ্ডের স্মৃতি...


অমরনাথের ঘটনা ২০১৩ সালের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি অনেকের মনে ফিরিয়ে আনছে। তুমুল বৃষ্টিতে সে বার বানভাসি হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের নটি জেলা। হড়পা বানের ধাক্কায় কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল কেদারনাথ। ব্যাপক ধস ও জলের তোড়ে কাতারে কাতারে মানুষ চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিলেন। বস্তুত উত্তর ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের তালিকায় নাম উঠেছিল ২০১৩ সালের ওই ঘটনার। যদিও সেটাই শেষ নয়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতেও ফের একই রকম আতঙ্কের আবহ ফেরে। সেবারও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তুষারধস নামে উত্তরাখণ্ডে। প্লাবিত হয় অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদী। তাতে ধৌলিগঙ্গার দুটি নির্মীয়মাণ বাঁধে ফাটল ধরে, বান ডাকে জোশীমঠে। নির্মীয়মাণ ঋষিগঙ্গা ও তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তুমুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু মানুষের প্রাণহানির খবর মেলে। এছাড়াও একাধিক 


ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল প্রদেশ


খুব দূরের ঘটনাও নয়। দিনদুয়েক আগের খবর। সে দিন হিমাচলপ্রদেশের পার্বতী উপত্যকাতেও মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে চার জনের প্রাণ যায়। মঙ্গলবার থেকে তীব্র বৃষ্টিতে বানভাসি ছিল হিমাচলপ্রদেশ। তার পরেই ওই ঘটনা।  


পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের...


শুক্রবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জন্যই লাল সতর্কতা জারি করেছিন ভারতের আবহাওয়া দফতর। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল সেই এলাকাগুলিতে। এর মধ্যেই অমরনাথে বিপর্যয়ের ঘটনা। পুলিশ, রাজ্য় ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ চালাচ্ছে। তবে উদ্ধারকাজের জন্য তৈরি বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। যে কোনও মুহূর্তে উড়তে তৈরি তারা। 


আরও পড়ুন:মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, আপাতত স্থগিত অমরনাথ যাত্রা