নয়াদিল্লি: মোদি-বিরোধী জোটে তিনি যে নেত্রী হতে চান না, তা গত ২১ জুলাই শহিদ দিবসের বক্তৃতাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। এদিন সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলনেত্রীর গলায় উঠে এল সেই কথাই। জানিয়ে দিলেন, নেত্রী নন, ক্যাডার হয়েই থাকতে চান তিনি। 


পেগাসাসকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় দেশের রাজনৈতিক মহল। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে হাই-ভোল্টেজ বৈঠক ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। এই বৈঠক ঘিরে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তুমুল জল্পনা ছিল। বিকেল সাড়ে ৪টেয় ১০ নম্বর জনপথে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিন বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাহুলের উপস্থিতিতে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে সদর্থক বৈঠক হয়েছে।’


মমতা জানান, করোনা থেকে পেগাসাস, সব ইস্যুতেই কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিজেপিকে হারানোর জন্য সবাইকে একসঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে হবে। আমি লিডার নই, আমি ক্যাডার। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সংসদে পেগাসাস নিয়ে জবাব দেওয়া।’


বিধানসভা ভোটে বামদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বৈরিতা ভুলে ফের কাছাকাছি আসতে চলেছে দু’পক্ষ। 


দিল্লি সফরে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যস্ত কর্মসূচি। আজ সকালে সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে চা-চক্রে মিলিত হন তৃণমূল নেত্রী। আজ সন্ধেয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


যদিও, বিজেপি অবশ্য সনিয়া-মমতা বৈঠককে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এদিন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, এর আগে বারবারই বিরোধী জোট গড়ার চেষ্টা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালেও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ জানে তারা কাকে চায়।


পেগাসাসকাণ্ডে সংসদের দুই অধিবেশনেই এদিন সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন ফের ওঠে 'খেলা হবে' স্লোগান। অন্যদিকে রাজ্যসভাতেও ধরা পড়ল একই ছবি। স্মৃতি ইরানি যখন বক্তব্য রাখছিলেন সেই সময় ওঠে 'খেলা হবে' স্লোগান।