গুজরাত: মঙ্গলবার গুজরাতের প্রাচীন হরপ্পান স্থান ধোলাভিরাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করল ইউনেস্কো। পাঁচটি বৃহত্তম হরপ্পান সিটির মধ্যে অন্যতম গুজরাতের ধোলাভিরা। মঙ্গলবার টুইট করে একথা জানানো হয় ইউনেস্কোর তরফে। ভারতীয় ৪০টি ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় যুক্ত হল এই প্রাচীন শহরের নামও।
গুজরাতের কচ্ছের রাণ উপত্যকার কাছে অবস্থিত হরপ্পা সভ্যতার এই প্রাচীনতম শহর নানা সাক্ষ্যবহনকারী। তেলাঙ্গনার রুদ্রেশ্বর মন্দিরের পর এটিও ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেয়েছে। এই নিয়ে গুজরাতের চারটি পর্যটন কেন্দ্র এই তকমা পেল। ইউনেস্কোর তরফে বলা হয়েছে, "প্রাচীন ধোলাভিরা শহর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উল্লেখযোগ্য এবং সু-সংরক্ষিত নগর জনপদ যা খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় সহস্রাব্দ এর মধ্যবর্তীতে তৈরি। পৃথক জল নিকাশি ব্যবস্থাপনা, বহু-স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, নির্মাণে পাথরের বিস্তৃত ব্যবহার এবং বিশেষ সমাধি কাঠামো যা ধোলাভিরাকে একটি বিশেষ মাত্রা দিয়েছে।"
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৮ সালে গুজরাতের প্রত্নতত্ত্ববিদ জেপি যোশী হরপ্পান এই শহরটিকে আবিষ্কার করেন। পর্যটক আর ঐতিহাসিকদের কাছে এই গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচিন এই জরাজীর্ণ শহরেই সিন্ধু সভ্যতার সাতটি পর্বের সন্ধান পাওয়া যায় বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থলে তামা, শেল, পাথর, গহনা, পোড়ামাটি এবং হাতির দাঁতগুলির একটি বিস্তৃত নিদর্শন পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, "ধোলাভিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। আমাদের অতীতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র। এটি অবশ্যই দেখার মতো জায়গা। বিশেষত ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কে আগ্রহীদের জন্য। আমার ছাত্রাবস্থায় আমি প্রথমে ধোলাভিরাতে গিয়েছিলাম। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এই ঐতিহাসিক জায়গাটিকে পুনর্নিমাণের কাজের সৌভাগ্য হয়েছিল।"
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি জানিয়েছেন, "আমার সহকর্মী তথা ভারতীয়দের সঙ্গে এই আনন্দ ভাগ করতে পেরে গর্ব অনুভব হচ্ছে। ধোলাভিরা বর্তমানে ভারতের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান। যা ইউনেস্কোর দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছে।" করোনার কারণে গত বছর এই নিয়ে ইউনেস্কোর বার্ষিক মিটিং বাতিল হয়ে যায়।