নয়াদিল্লি: ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনা নিয়েও এ বার রাজনৈতিক তরজা শুরু। নমিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের অভয়ারণ্যে আনা হয়েছে আটটি চিতা (Cheetahs In India)। নিজেহাতে খাঁচা খুলে তাদের ছেড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ঘটনাচক্রে শনিবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও। তাই মোদির জন্মদিনে ভারতে চিতার প্রত্যাবর্তনকে সংযোগ হিসেবে দেখেছেন বিজেপি-র (BJP) কর্মী সমর্থকরা। সেই আবহেই মোদিকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস (Congress)। তাদের অভিযোগ, ২০০৯ সালে গৃহীত প্রকল্পের কৃতিত্ব লুটছেন মদি। মিথ্যা বলছেন দেশবাসীকে।
চিতা ফেরানো নিয়েও শুরু রাজনৈতিক তরজা
রবিবার মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh)। ইউপিএ আমলেই যে চিতা ফিরিয়ে আনার প্রকল্প গৃহীত হয়েছিল, প্রমাণস্বরূপ একটি চিঠিও তুলে ধরেন তিনি। ট্যুইটারে লেখেন, ‘এই চিঠির মাধ্যমেই ২০০৯ সালে চিতা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ঘোর মিথ্যাবাদী। ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় গতকাল চিঠিটি সামনে আনতে পারিনি’।
জয়রাম যে চিঠি তুলে ধরেছেন, সেটি ২০০৯ সালের। সেই সময় কেন্দ্রে পরিবেশ এবং বন মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে ওই চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয় ওয়াইল্ট লাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার এক আধিকারিককে। যদিও শনিবার দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিগত কয়েক দশকে চিতা ফিরিয়ে আনার কোনও প্রচেষ্টাই হয়নি।’’ তা নিয়েই মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন জয়রাম।
উল্লেখ্য, অতীতে ভারতে এশিয়াটিক চিতার বাস ছিল। কিন্তু ১৯৫২ সালে অভ্যন্তরীণ ভাবে চিতার বিলুপ্তির ঘোষণা করা হয়। তার পর আন্তঃমহাদেশীয় স্থানান্তরণ প্রকল্পের আওতায় ভারতে ফের চিতার ফেরানোর পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
২০০৯ সালেই চিতা ফেরানোর পরিকল্পনা গৃহীত
আফ্রিকা থেকে ভারতে চিতা আনার পরিকল্পনা ২০০৯ সালেই গৃহীত হয়। কিন্তু নানা কারণে ওই পরিকল্পনা পিছিয়ে যেতে থাকে। ২০২১-এর নভেম্বরে চিতা আনা হবে বলে এর আগে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে প্রক্রিয়া আটকে যায়। শেষমেশ শনিবার নমিবিয়া থেকে আট চিতা ভারতে এসে পৌঁছয়। গোটা বিশ্বে চিতার সংখ্যা ৭ হাজার। মূলত আফ্রিকার সাভানা অঞ্চলেই তাদের দেখা যায়। তাদের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখা হয়েছে।