কুন্নুর : ৬ বছর আগে নাগাল্যান্ডে রক্ষা পেয়েছিলেন। কিন্তু নীলগিরিতে শেষরক্ষা হল না! হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল, ভারতের ৩ বাহিনীর সর্বোচ্চ পদাধিকারী, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের।
মৃত্যু হল তাঁর স্ত্রীর । এবং কপ্টারে সওয়ার ভারতীয় সেনার আধিকারিক ও জওয়ানদের। এর আগেও ভারতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় একাধিক VVIP-র মৃত্যু হয়েছে।



  • ১৯৯৩ সালে ভুটানে কপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়, ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামিল মেহমুদের।

  • ২০০১ সালে চপার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় অরুণাচল প্রদেশের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডেরা নাতুংয়ের।

  • ২০০২ সালে বেল 206 হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় লোকসভার তৎকালীন স্পিকার ও তেলুগু দেশম নেতা G M C বালাযোগীর।

  • ২০০৪ সালে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় মেঘালয়ের মন্ত্রী সাইপ্রিয়ান সাংমা সহ ১০ জনের।

  • ২০০৫ সালে মৃত্যু হরিয়ানার মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা ও পি জিন্দলের।

    আরও পড়ুন :

    দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে কপ্টার, প্রায় ২০ ফুট উঠে গিয়েছিল আগুন, বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা




২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর। অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা YSR রাজশেখর রেড্ডি প্রাণ হারান। অন্ধ্র-রয়ালসীমার মাঝামাঝি জায়গায় নাল্লামালার জঙ্গলে গিয়ে আছড়ে পড়ে বেল 430 সিরিজের কপ্টারটি। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল। 

অরুণাচলপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা দরজি খাণ্ডু তাওয়াং থেকে ইটানগর যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। কিন্তু কপ্টারটির কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। এরপর ৪ মে, সেনা, এসএসবি-র চিরুণি তল্লাশিতে অরুণাচলের পশ্চিম কামেং জেলায় উদ্ধার হয় ভেঙে পড়া হেলিকপ্টার। ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী দরজি খাণ্ডুকে মৃত বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার।


৬ হাজার মিটার উচ্চতাই হোক , বা নিশ্চিদ্র রাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য এলিট বাহিনীকে সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়া। সমস্ত রকম প্রতিকূলতা সত্বেও উড়তে সক্ষম বায়ুসেনার এই বিশেষ হেলিকপ্টার। 
দেশের VVIP-রা যাতায়াত করতেন এই কপ্টারে। তাই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন, কীভাবে ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা?  এটা দুর্ঘটনা না কি নাশকতারও আশঙ্কা রয়েছে? অত্যাধুনিক এই হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার প্রকৃত কারণ কি আদৌ কোনওদিন বেরিয়ে আসবে?