নয়াদিল্লি: ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১। রাজস্থানে ৯ জন এবং মহারাষ্ট্রে আরও ৭ জনের শরীরে মিলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ। এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ ও ১৮ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে টিকাকরণের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ।


দেশে ক্রমেই বাড়ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ।কর্ণাটক, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের পর এবার দিল্লি, রাজস্থানেও মিলল ওমিক্রন-আক্রান্তের হদিশ। রাজস্থানে ৯ জন এবং মহারাষ্ট্রে খোঁজ মিলল আরও সাতজন আক্রান্তের।সব মিলিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে গেল।


তবে দেশের রাজধানীতেও ওমিক্রন ঢুকে পড়ায় চিন্তা বেড়েছে সবার। কেজরিওয়াল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব আফ্রিকার তানজানিয়া থেকে দিল্লি ফেরত ১৭ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। তাঁদের মধ্যে ৬ জন একই পরিবারের। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭ বছরের এক ব্যক্তিকে দোসরা ডিসেম্বর, গা ব্যথা, জ্বরের মতো কিছু উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এরপরই তাঁর শরীরে ওমিক্রনের হদিশ মেলে।


দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন  বলেছেন, ১৭ কোভিড ১৯ রোগী ও সংস্পর্শে আসা ছয়জনকে লোকনায়ক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।  যে ১২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল,সেগুলির মধ্যে এখনও পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে একজনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নমুনা মিলেছে।  তিনি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ছড়ানো আটকাতে আন্তর্জাতিক উড়ান নিষিদ্ধ করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন।


চিন্তার আরও বিষয় হল, তানজানিয়া ফেরত যে ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রমের হদিশ মিলেছে, তিনি ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই নিয়েছিলেন।


দেশে ওমিক্রনে মোট আক্রান্তের মধ্যে রাজস্থানে ৯ জন,মহারাষ্ট্রে ৮ ,কর্ণাটকে ২ জন, গুজরাত ও দিল্লির একজন রয়েছেন।সূত্রের খবর, রাজস্থানে ওমিক্রনে আক্রান্ত চার জন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন। তাঁদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন আরও পাঁচজন।


অন্যদিকে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পুণেতে নতুন ৭ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছেন।


যদিও পশ্চিমবঙ্গে এখনও ওমিক্রন-আক্রান্তের কোনও হদিশ মেলেনি বলে দাবি করছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধে পর্যন্ত বিদেশ ফেরত কোনও যাত্রী করোনা আক্রান্ত হননি। তাই কারও নমুনা জেনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়নি।


ওমিক্রন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ায়, যখন কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ, তখন টিকাকরণ নিয়ে স্বস্তির সুর কেন্দ্রের গলায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন ট্যুইট করে লিখেছেন, আমরা করব জয়। ভারতকে অভিনন্দন। এটা অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত, কারণ দেশের মোট প্রাপ্ত বয়স্কদের ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ কোভিড ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিয়েছেন। আমরা একসঙ্গে লড়ে COVID-19’এর বিরুদ্ধে জিতব।