কলকাতা :  কোভিশিল্ডের পর এবার দাম বেঁধে দেওয়া হল কোভ্যাকসিনেরও । কোভিশিল্ডের থেকেও দাম বেশি হল কোভ্যাকসিনের । সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে দাম ধার্য হয়েছে ৬০০ টাকা । বেসরকারি হাসপাতালকে কোভ্যাকসিন কিনতে হবে ১২০০ টাকায় । জানিয়ে দিল কোভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক । 



এর আগে  কোভিশিল্ডও দাম ঘোষণা করে। রাজ্যগুলির জন্য কোভিশিল্ডের দাম ধার্য হয়েছে ৪০০ টাকা । বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিশিল্ড কিনতে হবে ৬০০ টাকায় । কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫০ টাকায় কোভিশিল্ড বিক্রি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট। 


আজ সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে, একটি মিডিয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে,  করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দাম নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে । তাই সংস্থার তরফ থেকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এই বিজ্ঞপ্তি জারি ।


প্রথমত তারা জানিয়েছে ,  সারা দেশে করোনা প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সরকারগুলি যেহেতু অনেক বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন কিনছে, তাই অনেক কম দামে কোভিশিল্ড দেওয়া যাচ্ছে । এই পরিপ্রেক্ষিতে সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, বাজারদর অনুসারে, খোলা বাজারে অন্যান্য অসুখের অনেক ভ্যাকসিন ( যেমন নিউমোনিয়া ) অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হয় । সেখানে সরকারের জন্য এটি খোলাবাজারের থেকে এক তৃতীয়াংশ দামে বিক্রি করা হয় ।

২৮ এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন নেওয়ার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে কোউইন অ্যাপে । আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোন ভারতীয় নাগরিক করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবে । গত ১৯ এপ্রিল এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার । অর্থাৎ  ১ মে থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনেশন এর তৃতীয় পর্যায় । এই পর্যায়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে  CoWIN  অ্যাপ এ ।

অন্যদিকে কলকাতা থেকে জেলা। ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত নাকাল সাধারণ মানুষ। এনআরএসে দিনভর লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন পেলেন না অধিকাংশই। জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে আজ ও কাল বন্ধ ভ্যাকসিনেশন। তিনদিন ধরে ভ্যাকসিনের কোনও ডোজই দেওয়া হচ্ছে না কাটোয়া পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে বন্ধ প্রথম ডোজ দেওয়া।