দিল্লি : করোনাকালে দেশে মেডিক্যাল অক্সিজেনের অভাব পূরণে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। আগামী তিন মাস অক্সিজেন, ভ্যাকসিন আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে দেশে বেড়েই চলেছে অক্সিজেনের চাহিদা। একাধিক রাজ্যে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের জেরে তৈরি হয়েছে অক্সিজেনের সঙ্কট। যার মধ্যে অন্যতম নাম দিল্লি। রাজধানীর পরিস্থিতি এমন হয়েছে, যেখানে গতরাতে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন রোগীর। বাধ্য হয়ে অনেক সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালও রোগী ভর্তি বন্ধ করেছে।


এবার প্রাণবায়ুর এই আকাল কাটাতে কম দামে অক্সিজেন পাওয়ার সুযোগ তৈরি করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দাবি, আগামী দিনে এই শুল্ক ছাড়ের ফলে আরও সহজলভ্য হবে মেডিক্যাল অক্সিজেন। শনিবার হাই লেভেল কমিটির সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই আসে সুখবর।


যেখানে বলা হয়, আগামী তিন মাস অক্সিজেন, কোভিড ভ্যাকসিন ও অক্সিজেন সম্পর্কিত জিনিসে আমদানি শুল্ক ছাড় দেবে সরকার। এই শুল্ক ছাড়ের আওতায় রাখা হয়েছে, অক্সিজেনের স্টোরেজ ট্যাঙ্ক, ফিলিং সিস্টেম ও কনসেনট্রেটরকে। এইসবের ওপর থেকে কাস্টম ডিউটি ও হেলথ সেস ছাড় দেওয়া হয়েছে।


বিরোধীদের দাবি, সম্প্রতি দেশজুড়ে করোনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে মোদি সরকার। যার জেরে এখন প্রতিদিন করোনা নিয়ে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবারের বৈঠক ধরলে তিন দিনে তিনটি কোভিড সংক্রান্ত বৈঠক করলেন মোদি। শুক্রবারই দেশের অক্সিজেন প্রস্তুতকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে দেশে অক্সিজেনের উৎপাদন ও সরবরাহ দ্রুত বাড়ানো যায়, সেই নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।


এদিকে, শুক্রবারই রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। চিঠিতে রাজ্যের অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলির তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলি পুনরুজ্জীবনের কথা বলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জরুরি ভিত্তিতে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠাতে হবে দিল্লিতে। দেশের অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারগুলিকে।