দিল্লি : মাত্র ৯২ দিনে ১২ কোটি মানুষের টিকাকরণ। বিশ্বে দ্রুততম দেশ হিসাবে এই সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। প্রেস ইনফরমেশন ব্য়ুরো সূত্রের খবর । আজ সকাল সাতটা পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ভারতে ১২ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ৫৯০টি ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে।

  


টিকাকরণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যামেরিকা। ১২ কোটির গণ্ডি ছুঁতে তাদের সময় লেগেছে ৯৭ দিন। অ্যামেরিকার পিছনে রয়েছে চিন। একই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে তারা নিয়েছে ১০৮ দিন।


ভারতে স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের দিয়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম ধাপে ৯১ লাখ ২৮ হাজার ১৪৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। ৫৭ লাখ ৮ হাজার ২২৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ডোজ। ১ কোটি ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৫ জন ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে দেওয়া হয় প্রথম ডোজ। দ্বিতীয় ডোজ নেন ৫৫ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার। এরপর ৬০ বছরের বেশি বয়সি ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ৫২২ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ২৯৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়স ৪ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৩ জন নেন প্রথম ডোজ এবং ১০ লাখ ৮১ হাজার ৭৫৯ জন দ্বিতীয় ডোজ। 


এছাড়া গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি এক কোটির বেশি ডোজ দিয়েছে। গুজরাট গত ১৬ এপ্রিলের মধ্যে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়। বাকি তিন রাজ্য এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায় ১৪ এপ্রিল। পিআইবি এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভ্যাকসিনেশনের ৫৯.৫ শতাংশ হয়েছে দেশের আটটি রাজ্য থেকে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ লাখ মানুষের টিকাকরণ হয়েছে। 


এদিকে দেশে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ জন। মহারাষ্ট্র দেখেছে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সংক্রমিত ৬৭ হাজার ১২৩। এর পিছনেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি। এই দুই জায়গায় সংক্রমিতের সংখ্যা যথাক্রমে ২৭ হাজার ৩৩৪ ও ২৪ হাজার ৩৭৫।