নয়াদিল্লি : ছত্তীসগঢ়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে নিখরচায় করোনার ভ্যাকসিন দেবে রাজ্য সরকার । মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল একথা জানিয়েছেন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে। তিনি লেখেন, '' ছত্তীসগঢ়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেবে রাজ্যের সরকার। এখানকার মানুষদের জীবন রক্ষার জন্য রাজ্য সম্ভাব্য সমস্ত পদক্ষেপ করবে । কেন্দ্র সরকারের কাছে অনুরোধ, তারা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন রাজ্যে পাঠায় ।


মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে , তারাও ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে করোনার ভ্যাকসিন নিখরচায় দেবে । মধ্যপ্রদেশ সরকার বুধবার ঘোষণা করে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। এই কর্মসূচি শুরু হবে ১ মে থেকে । বুধবার মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চহ্বান মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানান । এর আগে অসম সরকারও বিনা পয়সায় নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

গত ১৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবে । সেইসঙ্গে বলা হয় খোলাবাজারে কোভিড ১৯ - এর ভ্যাকসিন রাজ্যগুলি আলাদা করে   কিনতেও পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে।এতদিন ভ্যাকসিন বণ্টন প্রক্রিয়াটি গোটাটাই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু, এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকার খোলা বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির সবুজ সঙ্কেত দেয়। 


এরই মধ্যে আজ বড় ঘোষণা করল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে কোভিশিল্ডের দাম ঘোষণা করা হল। সংস্থা জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্য সরকারগুলির জন্য ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ, সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের এক-একটি ডোজ মিলবে ৪০০ টাকায়। অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা। 

অন্যদিকে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১০০ কোটি টাকা ভ্যাকসিন কেনার জন্য ফান্ড তৈরি রেখেছে রাজ্য। ৯৩ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে। ২.৫ পরিবারকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে আরও ১ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছি দ্রুত সরবরাহের জন্য । বাজার থেকেও ভ্যাকসিন কেনার ভাবনা আছে সরকারের।