নয়াদিল্লি: প্রশাসনের পরিকাঠামো ব্যর্থ। পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারদের দায়িত্ব সামলাতে বলুন। ঠিক এই ভাষাতেই দিল্লিতে অক্সিজেনের কালোবাজারি নিয়ে দিল্লি সরকারকে তুলোধনা করল দিল্লি হাইকোর্ট।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে অক্সিজেন সংকট ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। বেশ কিছু হাসপাতালে স্রেফ অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছেন প্রচুর রোগী। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই করোনা আক্রান্ত। তীব্র শ্বাসকষ্টের মাঝে প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী অক্সিজেনটুকু না পেয়ে বেঘোরো প্রাণ হারাতে হয়েছে অনেককে। পরিস্থিতি সামলাতে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ালেও এখনও দিল্লির অবস্থা আশঙ্কাজনক। একাধিক হাসপাতালের বাইরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে রোগী ভর্তি না করতে পারার ব্যর্থতার কথা।
ঠিক এই অবস্থাতেই দিল্লির আপ-সরকারকে কার্যত তুলোধনা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। সেখানকার মহামান্য আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা আপনারা সামলাতে চরমভাবে ব্যর্থ। যদি আপনারা না পারেন তাহলে জানিয়ে দিন, কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসাররা পরিস্থিতি সামলানোর দায়ভার নেবে।'
শুধু সেখানকার সরকারকেই তুলোধনা করে থামেনি দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি বিপিন সংঘী ও বিচারপতি রেখা পাতিলের ডিভিশন বেঞ্চ আদালতে উপস্থিত অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে উদ্দেশে বলেছে, 'আপনারা কী অক্সিজেনের কালোবাজারির সঙ্গে ওয়াকিবহাল নন? বর্তমান পরিস্থিতিতে কী সেটা আদৌ মনুষত্বের নিদর্শন?'
যার পরই দিল্লি হাইকোর্ট দিল্লির সরকারকে অক্সিজেনের কালোবাজারি যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছে, আপনাদের কাছে সেই ক্ষমতা রয়েছে। সদব্যবহার করুন।
কোনওভাবেই যাতে দিল্লি সরকার অক্সিজেনের কালোবাজারি বরদাস্ত না করে ও হাতে থাকা অক্সিজেনের সুষম সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ যেন নেয় সেই বার্তাই দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
এদিনই দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছে। দেশে এই মুহূর্তে জরীরী অবস্থার মতো পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করতে তা দ্রুত জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি করোনা ভ্যাকসিনের দাম নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে তারা।