নয়া দিল্লি : দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ফের দেড়শো ছুঁইছুঁই। দৈনিক সংক্রমণও ফের সাড়ে চার হাজার পার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৯৩। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৮৩।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০৮। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫৫ জনের।
এদিকে দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯৬২ জন। দৈনিক পজিটিভির হার ০.৫১ শতাংশ। অন্যদিকে, সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার ০.৬২ শতাংশ। এদিকে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ হাজার ৪১৬ জনের। এনিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৬৬। সুস্থতার হার ৯৮.৬৯ শতাংশ।
এদিকে ভারতে ফের কোভিড ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আইআইটি কানপুরের (iit kanpur) গবেষক দল। দেশে তৃতীয় ঢেউ ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। ছন্দে ফিরছে সাধারণ জনজীবন। স্কুল-কলেজও খুলেছে। কিন্তু ফের আশঙ্কা গবেষকদের দাবি ঘিরে। কানপুর আইআইটির ওই গবেষক দলের দাবি, জুনের শেষদিকে ভারতে আসতে পারে কোভিড (covid) সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ। গবেষক দলটি জানিয়েছে, জুন থেকে শুরু হয়ে অক্টোবরের প্রায় শেষ পর্যন্ত দাপট দেখাতে পারে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ (fourth wave)। যদিও তা কতটা মারাত্মক হবে, তা নির্ভর করবে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের চেহারা, দেশজুড়ে টিকাকরণের (vaccination) হাল এবং বুস্টার ডোজের হালহকিকতের উপর।
এর আগে কোভিড সংক্রমণের ঢেউ নিয়ে গবেষকরা যা বলে এসেছেন তা মোটামুটি মিলে গিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য সেই মডেল মেলেনি। আইআইটি কানপুরের ম্যাথামেটিক্স এবং স্ট্যাটিস্টিক্স বিভাগের তরফে এই গবেষণা করা হয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিবিজ্ঞানের একটি বিশেষ মডেল (statistical model) মেনে এই পূর্বাভাস করা হয়েছে। ভারতে প্রথম কোভিড সংক্রমণের দিন থেকে ৯৩৬ দিন পর শুরু হতে পারে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ।