UP Assembly Election 2022:  হাইভোল্টেজ প্রচারের পর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে সাত দফায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল ফল ঘোষণা। দেশের এই সবচেয়ে বড় রাজ্যে ভোট ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ স্বাভাবিকভাবেই খুব বেশি। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির নেতারাই নন, সমর্থকরাও নিজেদের মধ্যে বাকযুদ্ধে নেমেছিলেন। আর সেই বাকযুদ্ধ থেকেই বদায়ুঁতে এমন ঘটনা ঘটল, যা বেশ আজব। ভোটে কে জিতবে? তা নিয়ে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টির দুই সমর্থকের দাবি, পাল্টা দাবি চরমে উঠল। শেষপর্যন্ত ওই দুই বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি সমর্থক একে অপরের সামনে শর্ত রাখলেন। এই শর্ত মোতাবেক জমি বাজি রাখলেন তাঁরা। শর্ত অনুসারে, যে বাজি হারবেন, তিনি তাঁর জমি অন্য জনের হাতে এক বছরের জন্য তুলে দেবেন। 


আসলে ভোটের আগে দুই পক্ষই একে অপরের দলের জয়ের দাবি জানিয়ে তর্কে জড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু সেই তর্কের নিষ্পত্তি কীভাবে হবে, তা নিয়েই শেষপর্যন্ত জমি বাজি রাখলেন তাঁরা। এমনিতে আগামীকাল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। এই গণনাতেই স্থির হয়ে যাবে, লখনউয়ের কুর্সি কার দখলে যাবে। সেই সঙ্গে বদায়ুঁর ওই দুই ব্যক্তির চার বিঘা জমি আগামী এক বছর কার দখলে থাকবে, তাও ভোটের ফলে স্থির হবে। কারণ, বাজির শর্ত এমনই। আর এই শর্ত শুধু তাঁদের দুজনের মধ্য়েই সীমিত নয়। রীতিমতো পঞ্চায়েত ডেকে কাগজপত্রে সইসাবুদ করে রাখা হয়েছে বাজি। আর ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে এই বাজির কাগজপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। জানা গেছে, বিবদমান দুই বিজেপি ও সমাজবাদী সমর্থকের নামও। বিজেপি সমর্থকের নাম বিজয় সিংহ এবং সমাজবাদী পার্টির সমর্থকের নাম শের আলি। 


জানা গেছে, বিজয় সিংহ ও শের আলির মধ্যে ভোটের ফল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বাকযুদ্ধ চলছিল। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বিজয় সিংহ দাবি করেছিলেন, ভোটে বিজেপিই জিতবে। অন্যদিকে, শের আলি দাবি করেছিলেন, সরকার গড়বে সমাজবাদী পার্টি।  এই নিয়ে তর্কের জল এতদূর গড়ায় যে তাঁরা একে অপরকে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন। এরপর পঞ্চায়েত ডাকা হয়। পঞ্চায়েতে সামিল হন গ্রামবাসীদের অনেকেই। সেখানে দুই জনই নিজেদের মধ্যে শর্ত সম্বলিত কাগজ লিখে পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেন।