মুম্বই: ফিরে এল গত বছর মার্চ মাসের স্মৃতি। করোনার দাপটে নাজেহাল অবস্থা মহারাষ্ট্রের। শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি। যা ২০২১ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। 


উত্তরোত্তর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, ঔরঙ্গবাদে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আগামী ১৫ থেকে ২১ মার্চ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন হবে। ইতিমধ্যেই নাগপুর ও প্রভানি শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে লকডাউন। বৃহস্পতিবার লকডাউনের ঘোষণা করে সরকার। এদিকে ২০২১ সালের মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ হয়েছে গতকাল। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।  


উল্লেখ্য, গত মাসে ৬ হাজারের কম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মহারাষ্ট্রে। কিন্তু হঠাৎই ১৬ হাজার ছুঁইছুঁই আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবারের হিসেব অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হন ১৪ হাজার ৩১৭ জন। মৃত্যু হয় ৫৭ জন। রাতারাতি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একাধিক জেলায় লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে, প্রয়োজনে একাধিক জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সাত পয়েন্টের অ্যাকশন প্ল্যানের কথা। যেখানে বলা হয়েছে, দ্রুত আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসাদের চিহ্নিত করতে হবে, তাঁদের পরীক্ষা করাতে হবে, হটস্পটগুলিতে গণ পরীক্ষা, মৃতদের তালিকা তৈরি। তবে শুধু মহারাষ্ট্রই নয়, রাতারাতি এই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার তালিকায় আছে কেরল, পঞ্জাব, কর্নাটক, গুজরাত, তামিলনাড়ু। 


এদিকে দেশে করোনায় বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। সেইসঙ্গে বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাও। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪৪৬ জনের।  আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭২৮।  এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১১৭।  গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৮৮২ জন। গতকাল দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ২৮৫।  গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৫৭ জন। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ১৫৭।  দেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।