নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারত। প্রায় আড়াই লক্ষ ভারতীয়র প্রাণহানি। দেশে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুর মিছিল চলছে।


এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে করোনার ভারতীয় স্ট্রেন। যা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 
হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, অন্য একটা স্ট্রেন এসেছে, ওই স্ট্রেন কতটা বিপজ্জনক, তার চরিত্র জানার চেষ্টা চলছে।


করোনা ভাইরাসের স্ট্রেন যেভাবে ঘনঘন চরিত্র বদলাচ্ছে, তাতে ভ্যাকসিন দিয়েও এর মোকাবিলা কীভাবে করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎ‍সকরা।


চিকিত্‍সক প্রভাস প্রসূন গিরি বলেন, যেভাবে করোনা ভাইরাসের স্ট্রেন চরিত্র বদল করছে, তাতে ভবিষ্যতে হয়ত ৬ মাস অন্তর ভ্যাকসিন পাল্টানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে, করোনা ভাইরাসের ডবল মিউট্যান্টও চিন্তা বাড়াচ্ছে।


ভারতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সঠিক তথ্য কি সরকারিভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে? কোথাও কিছু লুকোনো হচ্ছে না তো, এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই নানা মহল থেকে তোলা হয়েছে? এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানীর মুখেও সেই প্রশ্ন।


এই প্রেক্ষিতে সৌম্যা স্বামীনাথন মনে করেন, যে কোনও সরকারের উচিত কিছু না লুকিয়ে আসল সংখ্যা খোলসা করা। তিনি বলেন, ভারতে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।  আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।  এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ভারতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করা।


সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টও স্পষ্ট ভাষায় সরকারকে বলেছিল, করোনা সংক্রান্ত কোনও রকম তথ্যগোপনের অভিযোগ যেন না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। 


সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, আসল তথ্য সবসময় সামনে আসা প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখতে হবে, তথ্য ও পরিসংখ্যান যত স্বচ্ছ হবে, তত মোকাবিলা করতে, নীতি প্রণয়ন  করতে, ব্যবস্থাগ্রহণে সুবিধা হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, মানুষ শুধু কোভিডে মারা যাচ্ছেন তাই নয়। অনেকে অন্য রোগ-অসুস্থতাতেও মারা যাচ্ছেন। কারণ, করোনাকালে ভারতের বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে তাঁরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না।