মহারাষ্ট্রে: চিন্তা বাড়ল দেশে। চিন্তা বাড়ল মহারাষ্ট্রে। বুধবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ জন। অগাস্টের ৮ তারিখেও এই প্রজাতিতে সংক্রমণ ছিল ৪৫। তিন দিনের মধ্যেই আক্রান্তে অনেকটাই লাফ দিয়ে বৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে সাতটি মুম্বই, তিনটি পুনে এবং বাকি ছ'টি অন্যান্য জেলা থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে। 


ডেল্টা প্লাস সংক্রমণের মোট কেসের মধ্যে জলগাঁও জেলায় সর্বোচ্চ ১৩টি রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরে রত্নগিরিতে রয়েছে ১২টি এবং মুম্বইয়ে ১১টি। রাজ্যের ৬৫টি ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্তের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, ৩৩ জন মহিলা এবং সাত জন ১৮ বছরের কম বয়সী রয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানান হয়েছে, "জেনেটিক সিকোয়েন্সিং টেস্ট করে দেখা গিয়েছে যে রাজ্যের ৮০ শতাংশেরও বেশি নমুনায় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৬৫টি নমুনা ডেল্টা প্লাস পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট দিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ডেল্টা প্লাস হালকা থেকে মাঝারি অসুস্থতা নিয়ে এসেছে। "


জেনেটিক সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ দ্রুত করার জন্য মহারাষ্ট্র সরকার ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি, কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের অধীনে একটি ল্যাবরেটরির সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে।


যদিও সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছিল, দেশে সংক্রমণ থাকলেও ডেল্টা প্লাসের জেরে এই সংক্রমণ হচ্ছে না। করোনার এই রূপের সংক্রমণ ডেল্টার মতো ততটা দ্রুত ছড়াচ্ছে না বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (এনসিডিসি)-এর ডিরেক্টর এস কে সিংহ এদিন বলেন, “মে-র শেষ পর্যন্ত ডেল্টা ব্যাপক ক্ষতি করেছে দেশে। সেই সময় সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে ৯০ শতাংশই ডেল্টা রূপ।” উল্লেখ্য, ডেল্টার ভয়াবহতা দূর হতে না হতেই ডেল্টার নতুন রূপ এসে হাজির হয় ভারতে। এই প্রজাতিকে আগেই ‘ভ্যারিয়ান্ট অব কনসার্ন’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তবে ভারতে এর মারাত্মক প্রভাব এখনও পড়েনি বলেই জানান হয়েছে।