নয়া দিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বুধবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল। এদিকে বৈঠক নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


রাজ্যপালের এই ঝটিকা দিল্লি সফর ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে এখন জল্পনা তুঙ্গে। যদিও, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরনোর পর একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন জগদীপ ধনকড়। 


অতীতে তৃণমূল সরকারের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। এদিকে তৃণমূল সরকারের বিরোধিতায় লাগাতার শুভেন্দু অধিকারীরাও রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছেন। খোদ রাজ্যপাল নিজেও, নন্দীগ্রাম থেকে অসম ঘুরেছেন....সরাসরি রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে জোরালভাবে কলকাতা থেকে দিল্লি অবধি সরব হয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী-রাজ্যপালের বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 


এরমধ্যে একাধিকবার দিল্লি গেছেন রাজ্যপাল। জুন মাসে দিল্লি সফরে দু’বার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরই মধ্যে জৈন হাওয়ালা ডায়েরি থেকে রাজভবনে নিয়োগে স্বজনপোষণ...নানা অভিযোগে রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত বাধে ! তাঁর অপাসরণও দাবি করে রাজ্যের শাসক দল। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় কি রাজ্যপাল বদল হতে পারে, এই জল্পনাও তীব্র হয়। এরই মধ্যে ১৪ জুলাই নবান্ন থেকে সোজা রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর প্রায় দু’ঘণ্টা কথা হয়। এর পর সম্প্রতি দিল্লি সফরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিকে মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট দিনটি রাজ্য সরকার ‘খেলা হবে দিবস’ ঘোষণা করায়, এতে আপত্তি জানিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। তখন উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। এর পরই রাতে দিল্লি রওনা দেন রাজ্যপাল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জগদীপ ধনকড়। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কি আলোচনা হল ? রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ? না কি অন্য বিশেষ কোনও ইস্যু ? এর উত্তর না মিললেও, জল্পনা তুঙ্গে।