নয়া দিল্লি: মাত্র ১০ সপ্তাহে করোনার ওমিত্রন ভ্যারিয়েন্টে বিশ্বে ৯ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এই তথ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, ২০২০ সালে করোনায় বিশ্বে সারা বছরে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এই সংখ্যা তার থেকে অনেকটাই বেশি। অর্থাত্, অত্যন্ত দ্রুত হারে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, ওমিক্রনের মারণ ক্ষমতা করোনার অন ভ্যারিয়েন্টের থেকে কম হলেও ইদানীং বিভিন্ন দেশ থেকে মৃত্যুর খবর আসছে, যা উদ্বেগজনক।
ইতিমধ্যেই ৫৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন, এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এও বলা হয়েছে যে ওমিক্রনের আসল প্রজাতির থেকেও মারাত্মক সংক্রমক হতে পারে এই ভাইরাস। ১০ সপ্তাহ আগে শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন প্রজাতিতে বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে এবার উপপ্রজাতি আরও সংক্রমক হয়ে উঠছে এমনটাই জানিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তরফে বলা হয়েছে এই উপ প্রজাতিগুলির মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জানা যায়নি। তবে বেশ কিছু সাম্প্রতিক গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে BA.2 আসল ওমিক্রনের চেয়ে বেশি সংক্রামক।
এদিকে, মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতির যে উপপ্রজাতি রয়েছে তা নিয়ে নয়া সতর্কবার্তা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর প্রধান বলেন, ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্ট BA.2 সম্ভবত 'অরিজিনাল' এর মতোই গুরুতর। মঙ্গলবার হু এর তরফে বলা হয়েছে করোনাভাইরাস সতর্কতা এখনও তুলে নেওয়া উচিত নয়। নিয়ম শিথিল করতে আগ্রহী দেশগুলিকে সতর্ক করেছে হু-প্রধান। ওমিক্রন এখনও অনেক দেশের গ্রাফ শীর্ষে ওঠেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস বলেন, "যে কোনও দেশের পক্ষে করোনার বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করার সময় নয় এখনই। এই ভাইরাসটি বিপজ্জনক। এটি আমাদের চোখের সামনে বাড়ছে ক্রমশ। WHO বর্তমানে চারটি উপ-প্রজাতির উপর নজর রাখছে। Omicron ভেরিয়েন্ট, BA.2 সহ আরও অনেক প্রজাতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।"
দেখা গিয়েছে, ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কমপক্ষে ৩৯% মানুষ পরিবারের বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। ওমিক্রনের আগের সংস্করণের ক্ষেত্রে যা ছিল ২৯%। যদিও এই রিপোর্টিরও বিস্তারিত পর্যালোচনা বাকি।