কানপুর: সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। দৈনিক কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছতে পারে ২ লাখ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত। এমনই গুরুতর আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে আইআইটি কানপুরের এক সমীক্ষায়। যদিও আনলক পর্বের মাঝে যাবতীয় করোনাবিধি মেনে চললে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত সংক্রমণের চূড়াকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে এবং ঢেউয়ের অভিঘাতও অনেক কম হবে বলেই জানিয়েছেন সমীক্ষক দল।


কানপুর আইআইটি-র দুই প্রফেসর রাজেশ রঞ্জন ও মহেন্দ্র বর্মার নেতৃত্বে এই সমীক্ষা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, এসআইআর (SIR) মডেল অনুসরণ করে এই সমীক্ষা করে দেখা হয়েছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব ক্রমশ দেশজুড়ে স্থিমিত হয়ে গেলেও এখনই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ঘিরে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। সমীক্ষকরা বলেছেন, করোনার প্রভাব কমায় যেভাবে আনলক প্রক্রিয়া এগোচ্ছে তাতে ১৫ জুলাইতে গোটা দেশেই আনলক জারি হয়ে যাবে এমনটা ধরে নিয়েই সমীক্ষা এগোনো হয়েছে।


আনলক প্রক্রিয়ার মাঝে কোভিড বিধি নিষেধ মেনে চললে হয়তো দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো ভয়ঙ্কর প্রভাব থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আবার তেমনটা না হলে দ্বিতীয় ঢেউকেও ছাপিয়ে যেতে পারে পরের ঢেউয়ের কোভিড ধাক্কা। আপাতত দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৫০ হাজারের কাছাকাছি থাকলেও কিছুদিন আগে তা ঘোরাফেরা করছিল ৪ লাখের আশপাশে। তৃতীয় ঢেউয়ে তা ছাপিয়ে দৈনিক সংক্রমণ ৫ লাখে পৌঁছে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা সমীক্ষকদের। আবার, সতর্ক থাকলে ২ লাখের কাছাকাছিতে তা আটকে রাখা সম্ভব বলেই মত তাদের।


কয়েকদিন আগেই এইমসের অধিকর্তা চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, আনলক প্রক্রিয়া চালু হতেই দেশজুড়ে যেভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোভিড সংক্রান্ত বিধি নিষেধ মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে তা কোভিডের তৃতীয় ঢেউকে ত্বরান্বিত করছে। আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে তা আছড়ে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি। এর মাঝেই আবার দেশের তিন রাজ্যে খোঁজ মিলেছে অতি সংক্রামক কোভিডের নতুন প্রকারভেদ ডেল্টা প্লাস। যে ভ্যারিয়্যান্টের হাত ধরেই তৃতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়বে বলেই আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।