নয়া দিল্লি : জাইডাস ক্যাডিলার করোনার ভ্যাকসিন জাইকোভ-ডি-র দাম নিয়ে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনই জনালেন নীতি আয়োগের(স্বাস্থ্য) সদস্য ভি কে পল। পাশাপাশি তিনি জানান, এই ভ্যাকসিনকে জাতীয় টিকাকরণ অভিযানে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ২০ অগাস্ট জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর, জাইকোভ ডি এক ধরনের ছুঁচবিহীন ভ্যাকসিন। অক্টোবর থেকেই যা পাওয়া যেতে পেরে। এটি বিশ্বের প্রথম প্লাজমিড ডিএনএ ভ্যাকসিন। তিনটি ডোজ প্রয়োগ করা হবে। প্রথম ডোজের ২৮ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৬ দিনের মাথায় তৃতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে যত ভ্যাকসিনকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে, তার প্রত্যেকটিই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নেওয়ার অনুমতি ছিল। এবার ১২ বছর বয়স হলেই নেওয়া যাবে জাইকভ-ডি ভ্যাকসিন। এপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারত পূর্ণ শক্তি নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বিশ্বের প্রথম ডিএনএ বেসড ‘জাইকভ-ডি’ ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেওয়া ভারতের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার সাক্ষ্য। এটা অবশ্যই কৃতিত্বের।’
জাইকোভ-ডি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ায় খুশি হন চিকিৎসকরাও। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘খুব ভাল খবর। এরপর ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি বা ২ থেকে ৬ বছর বয়সিদের টিকা দিতেও সমস্যা হবে না।’ প্রসঙ্গত, গুজরাতের সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে ডিএনএ বেসড ভ্যাকসিন জাইকোভ-ডি।
আমেদাবাদ অবস্থিত এই ফার্মা সংস্থার পক্ষ থেকে গত ১ জুলাই আপদকালীন ভিত্তিতে ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য আবেদন করা হয়েছিল ডিসিজিআই-এর কাছে। ভারতজুড়ে ৫০টি বেশি জায়গায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর পরই এর্মাজেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন চেয়েছিল জাইডাস ক্যাডিলা। যা ছাড়পত্র পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের ওপর করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য অনুমতি চেয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনও।