নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ওঠা ভ্যাকসিন-সঙ্কটের মধ্যে আশার খবর। ভারতে আরও দুই বিদেশি করোনা ভ্যাকসিনের প্রবেশের পথ প্রশস্ত করার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র।

  


সূত্রের খবর, দুই মার্কিন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার ও মডার্নাকে এদেশে আইনি রক্ষাকবচ দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে কেন্দ্র। 


সূত্রের খবর, যদি এই দুই সংস্থা জরুরি পরিস্থিতিতে ভারতে ব্যবহারের জন্য আবেদন করে, তাহলে তাদের আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হবে। 


সরকারি সূত্রের দাবি, এই দুই সংস্থাকে অন্য দেশে যেভাবে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে, ঠিক সেভাবে এখানেও তাদের সেই রক্ষাকবচ দেওয়া হবে। 


সম্প্রতি দিল্লি এবং পঞ্জাব ভ্যাকসিন চেয়ে ফাইজার এবং মডার্নার দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু, দুই রাজ্যের আর্জিই খারিজ করে দেওয়া হয়। 


দুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্তরে দ্রুত ভ্যাকসিন কিনতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে অনুরোধ করেন ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তারপরই, মডার্না ও ফাইজারকে জরুরি ভিত্তিতে ভারতে ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে কেন্দ্র।


আমেরিকা থেকে শুরু করে ব্রিটেন, জাপান, বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি তালিকাভুক্ত ভ্যাকসিনগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে ভারতে ব্যবহার করতে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। 


সেই প্রেক্ষিতে, ভারতে ব্যবহারের আগে বিদেশে-নির্মিত ভ্যাকসিনের প্রতি ব্যাচের পরীক্ষা করার বিষয়ে বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করেছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। 


এর ফলে, কসৌলির কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে এখন থেকে বিদেশি ভ্যাকসিনের প্রত্যেক ব্যাচের পরীক্ষা করার প্রয়োজন হবে না। 


প্রথা অনুযায়ী, এদেশে ভ্যাকসিনগুলিকে ট্রায়াল দিতে হবে না। এর ফলে মডার্না, ফাইজারের ভ্যাকসিন ভারতে ব্যবহারের পথ প্রশস্ত হবে। 


ডিসিজিআই-এর তরফে বলা হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে ভারতে বিদেশি ভ্যাকসিনের সীমিত ব্যবহারের অনুমতির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


এগুলি সেই সকল ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় সংস্থা, ব্রিটেন বা জাপানের সংস্থার দ্বারা অনুমোদিত অথবা হু-এর তালিকাভুক্ত। 


ডিসিজিআই-এর দাবি, দেশে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। যে কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে যথেষ্ট পরিমাণ বিদেশি ভ্যাকসিনের ডোজ মজুত থাকে।