জেনিভা: আরও ৪৪টি দেশে মিলেছে করোনার ভারতীয় স্ট্রেন। সার্বিকভাবে যা গোটা বিশ্বের করোনা চিত্র বদলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)। 


বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর অক্টোবরে ভারতে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট "বি.১.৬১৭" স্ট্রেন। কিন্তু এই মুহূর্তে বিশ্বের ৪৪টি দেশে এই প্রজাতির ভাইরাস খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 


হু জানিয়েছে, ১১ মে-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪৫০০ টি সিক্যোয়েন্স জিসেইড (ইনফ্লুয়েঞ্জার সম্পর্কিত তথ্য বণ্টন প্ল্যাটফর্ম)-এর সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, ৬টি অঞ্চলের অন্তর্গত মোট ৪৪টি দেশের থেকে "বি.১.৬১৭" স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। এছাড়া আরও ৫টি দেশ থেকে ভারতীয় স্ট্রেন সনাক্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। 


গত বছর ভারতে প্রথম খোঁজ মিলেছিল এই বিশেষ ভেরিয়েন্টের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভেরিয়েন্টকে 'বিশ্বের দুশ্চিন্তার কারণ' হিসেবে ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছে। 


হু-এর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত গবেষণার কারিগরী প্রধান মারিয়া ফন কারখোভ বলেন, আমাদের মহামারী (গবেষণা) দল ও গবেষণাগারে কর্মরত বিশেষজ্ঞরা এই বিশেষ ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে তথ্য যা দিয়েছে, তা থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে, এটি অধিক মাত্রায়  সংক্রমক। 


ভারতে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। দৈনিক মৃত্যুতে বিশ্বে ফের সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল ভারত। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা আবারও চার হাজার ছাড়াল। বাড়ল দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাও।   


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪২১ জন।  দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৩৮।  


ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ২০৫ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ১৯৭ জনের।  


অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৩৮ জন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা সামান্য কমে ৩৭ লক্ষ ৪ হাজার ৯৯। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৪২ জন।