নয়া দিল্লি : সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে পিএইচডি। চলতি বছরে এই সংক্রান্ত পরিকল্পনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা অতিমারির আবহে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত মানদণ্ড সাময়িক কালের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছে। যাতে বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলি তাদের ফাঁকা শূন্যপদ পূরণ করে নিতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রকের তরফের সূত্র সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছে, টিচিং ও নন-টিচিং স্টাফ সহ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রায় ১০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রকের তরফে এই শূন্যপদগুলি শীঘ্রই পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


সংবাদ মাধ্য়মের সঙ্গে কথা বলার সময় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে  PhD যোগ্যতার মাপকাঠি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। এখনকার মতো এই পদের জন্য আবশ্যক নয় PhD। তবে, এই বিষয়টি খারিজ হয়ে যায়নি।


আশা করা হচ্ছে, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের জেরে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শীঘ্রই ফাঁকা পদ পূরণ করতে সাহায্য করবে। শিক্ষা মন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে, প্রার্থীদের কাছ থেকে একাধিক অনুরোধ পেয়েছে মন্ত্রক। যাঁরা এই পদের জন্য আবেদন করতে চান। কিন্তু, পিএইচডি-র চাহিদা তাঁরা পূরণ করতে সক্ষম নন। তাঁরা ২০১৮-র গাইডলাইন স্থগিত রাখার দাবি জানান।


প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এন্ট্রি-লেভেল পোস্টে নিয়োগের জন্য মাপকাঠি নির্ধারণ করে। পিএইচডি শেষ করার জন্য প্রার্থীদের তিন বছর দেওয়া হয়েছে। সমস্ত বিশ্বিবদ্যালয় ও কলেজকে এই মাপকাঠি প্রয়োগের কথা বলা হয়। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই তা চালু করতে বলা হয়। কিন্তু, করোনা অতিমারির কারণে অনেক আবেদনকারীই তাঁদের পিএইচডি পূরণ করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা সরকারের কাছে সংশ্লিষ্ট নিয়মে ছাড়ের আবেদন জানান।


উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় থমকে আছে গবেষণার কাজ।