তিরুঅনন্তপুরম : পুনরায় দায়িত্বে সীতারাম ইয়েচুরি। তৃতীয়বারের জন্য সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রেখে দেওয়া হল দলের এই বর্ষীয়ান নেতাকে। রবিবার দলের ২৩তম পার্টি কংগ্রেসে এই ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি দলের ১৭ সদস্যের পলিটব্যুরো ও ৮৫ সদস্যের সেন্ট্রাল কমিটি নির্ধারণ করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, এই কমিটিতে থাকার জন্য সর্বাধিক বয়স ৮০ থেকে কমিয়ে ৭৫ করা হয়েছে। নতুন সেন্ট্রাল কমিটিতে ১৫ জন মহিলা প্রতিনিধি ও ১৭ জন নতুন প্রতিনিধি স্থান পেয়েছেন। ইয়েচুরি ছাড়াও পলিটব্যুরোতে জায়গা হয়েছে- প্রকাশ কারাত, পিনারাই বিজয়ন, বৃন্দা কারাত, মানিক সরকার, কোদিয়েরি বালাকৃষ্ণণ, এমএ বেবি, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, সুভাষিণী আলি, বিভি রঘুভুলু, জি রামকৃষ্ণণ, তপন সেন, নীলোৎপল বসু, রামচন্দ্র ডোম ও অশোক ধাওয়ালের।


২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে বিশাখাপটনমে দলের ২১ তম পার্টি কংগ্রেসে প্রথমবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় সীতারাম ইয়েচুরিকে। এরপর ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল হায়দরাবাদে ২২ তম পার্টি কংগ্রেসেও তাঁকে দ্বিতীয়বারের জন্য পদে রেখে দেয় দল। উল্লেখ্য, প্রকাশ কারাতের পর তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব সামলেছেন কারাত।


সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রের খবর, এলডিএফ-এর আহ্বায়ক ও কেরল সিপিএমের প্রাক্তন কার্যকরী সম্পাদক এ বিজয়রাঘবনকে কেরল থেকে পলিটব্যুরোর নতুন সদস্য নির্বাচন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বডি তথা পলিটব্যুরোয় নতুন আরও দুই জনকে আনা হয়েছে। তাঁরা হলেন- অশোক দাওয়ালে ও রামচন্দ্র ডোম। 


এদিকে কেরল থেকে দলের সেন্ট্রাল কমিটিতে নতুন কয়েকটি মুখ উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন- কেরলের মন্ত্রী কে এন বালাগোপাল ও পি রাজীব এবং আওমান নেতা সি এস সুজাতা ও পি সতীদেবী। তবে, কমিটি থেকে সরানো হয়েছে- সিনিয়র নেতা ভাইকম বিশ্বান, পি করুণাকরণ ও এম সি জোশেফিন। অন্যদিকে, এস রামচন্দ্র পিল্লাই, হান্নান মোল্লা ও বিমান বসু দলের কেন্দ্রীয় কমিটির স্পেশাল ইনভাইটিজ হিসেবে থাকছেন।