নয়াদিল্লি: ঘূর্ণিঝড় তওতের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড গুজরাত, দিউ। সরেজমিনে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবারই সেখানে পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারে চেপে উনা, দিউ, জাফরাবাদ ও মাহুভার পরিস্থিতি খতরিয়ে দেখবেন নরেন্দ্র মোদি। পরিদর্শন পর্ব শেষের পর আমদাবাদে একটি রিভিউ মিটিং করারও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী।


জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ নয়াদিল্লি থেকে গুজরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। গিয়ে নামবেন ভাবনগরে। সেখান থেকে চপারে বসে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী।


গতকাল মাঝরাত থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাটে আছড়ে পড়ে তওত। জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তওতের প্রভাবে গুজরাতে ৭ জনের মৃত্যুগত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়েছে, ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তাই গুজরাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ঠিক কতটা সেটা নিজে চোখেই দেখতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।


গত কয়েক দশকে এত ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় প্রত্যক্ষ করেনি গুজরাত। ঘূর্ণিঝড় তওতে সেখানে আছড়ে পড়েছিল ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার বেগে। কিছু কিছু জায়গায় ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছে গিয়েছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি জানিয়েছেন, ৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ভেঙে গিয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ঘর-বাড়ি। উপড়ে গিয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি গাছ। বিদ্যুৎের খুঁটি উপড়ে পড়েছে হাজারেরও বেশি। প্রবল ধ্বংসলীলা চালানোর পর এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের তাওতের তাণ্ডব কিছুটা কমেছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে।


গত কয়েকদিন ধরেই আরব সাগরের তীরের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি জুড়ে প্রবল চাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তওতে। কেরল, গোয়া, মহারাষ্ট্রের পর যা আঘাত হানে দমন-দিউ ও গুজরাতে। আম্রেলি, গির সোমনাথ, জুনাগড়, পোরবন্দর, রাজকোট, ভাবনগর এবং বোতাড়ার মতো জেলাগুলি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তওতের অবশিষ্টাংশ উত্তর-পূর্ব দিক হয়ে রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করবে যথাক্রমে ১৯ ও ২০ মে।