কাটিহার (বিহার): ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শক্তি হারিয়ে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে তুমুল বৃষ্টিপাত। আর তার জেরেই জল থইথই হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালের করিডরে জল ডিঙোনোর পরিবর্তে তাই রোগীর কাছে পৌঁছতে বাইকে চেপে বসলেন এক স্বাস্থ্যকর্মী! জল থইথই বিহারের কাটিহার সদর হাসপাতালের মধ্যেই রোগীর কাছে পৌঁছতে স্বাস্থ্যকর্মীর বাইক চালানোর ছবি সামনে এসেছে। আর যে ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল।


সংবাদসংস্থা এএনআই যে ভিডিওটি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে অতিবর্ষণের ফলে বিহারের কাটিহার সদগর হাসপাতাল চলে গিয়েছে জলের তলায়। বর্হিঃবিভাগ থেকে হাসপাতালের ভিতরের অংশ, সব জায়গার একই ছবি। যদিও প্রায় হাঁটুজল ঠেলেই রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেনব হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর মাঝে এক স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর সব সহকর্মীদের কাজ দেখতে ও পর্যবেক্ষণের জন্য চেপে বসেছেন বাইকে। জলে ডুবে থাকা হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই বাইরে চেপে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।


তবে শুধু কাটিহার সদর হাসপাতালই নয়, অতিবৃষ্টির জেরে বিহারের একাধিক হাসপাতাল হয়ে পড়েছে জলমগ্ন। এমনিতেই গোটা দেশ এই মুহূর্তে লড়ছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢউয়ের সঙ্গে। সেই সময়ে এমনিতেই হাসপাতালের বেড, অক্সিজেনের অভাবের চিত্র বিহার সহ দেশের একাধিক রাজ্যে দেখা গিয়েছে। এর মাঝেই আবার অতিবৃষ্টিতে হাসপাতালের জলমগ্ন হয়ে পড়ার ভয়ঙ্কর ছবি সামনে উঠে এসেছে।



অতিবৃষ্টিতে বিহারের দ্বারভাঙা মেডিক্যাল কলেজও চলে গিয়েছে জলের তলায়। শুধু হাসপাতাল চত্বরে জল জমাই নয়, সেখানে আবর্জনার স্তূপ, হাসপাতাল চত্বরের বহাইরে শুকর ঘুরে বেড়ানোর ছবি দেখে আঁতকে উঠেছেন সকলেই। কোভিডের মাঝে যখন দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে বিভিন্ন ফাঙ্গাল ইনফেকশন, সেই অবস্থায় এই ছবি রোগীদের স্বাস্থ্য ও বিহারের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েই ফের বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।


শনিবারই দ্বারভাঙা হাসপাতাল জলে ভাসার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নীতিশ কুমার সরকারকে খোঁচা দিয়ে বিহারের প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদবের খোঁচা 'দ্বারভাঙার ভাসমান হাসপাতাল'।


বিহারের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে জড়িতরাও গোটা পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত। এই সমস্ত হাসপাতালে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করেন তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তিত তারা।