গুয়াহাটি: জল না কমলেও মৃতের তালিকা বেড়েই চলেছে অসমে (assam)। শনিবার তা ১১৮-য় পৌঁছে যায়। এদিকে কাছাড় জেলার শিলচর (silchar) শহর এখনও জলের তলায়(flood)। ছদিন পরও পরিস্থিতি একচুলও উন্নতি হয়নি সেখানে।  
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বন্য়া ও ধসের জেরে গত এক দিনে আরও দশ জনের প্রাণ গিয়েছে। মৃতেরা বরপেটা, ধুবরি, করিমগঞ্জ এবং উদলগিরি জেলার বাসিন্দা। প্রাণহানির তালিকায় রয়েছে কাছাড় ও মরিগাঁও-র নামও। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১২ টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। সব মিলিয়ে চার দিকে শুধু ধ্বংসের ছবি। 


কোথায় কী অবস্থা: 
তবে সামান্য আশার আলো দেখাচ্ছে অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পরিসংখ্য়ান। সার্বিক ভাবে গত দিনের তুলনায় বন্যাবিপর্যস্ত বাসিন্দার সংখ্যা কমেছে। শুক্রবার পর্যন্ত ৩০ জেলার প্রায় ৪৫ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শনিবারই সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ৩৩ লক্ষ ৩ হাজারে। অসম বন্যা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ব্যাখ্যা, কয়েকটি নদীর জলস্তর সামান্য হলেও কমেছে। অন্তত ধুবরিতে ব্রহ্মপুত্রের মতিগতি দেখে সেরকমই আন্দাজ বিশেষজ্ঞদের। সে জন্যই কিছু জেলা সামান্য স্বস্তিতে। তবে নগাঁও জেলার মতো অংশই বেশি। এখানকার কোপিলি নদীর জলস্তর এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। শোচনীয় অবস্থা কাছাড়েরও। খাদ্য়সামগ্রী, পরিস্রুত পানীয় জল ও ওষুধের আকালে ভুগছেন শিলচরের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।  


উদ্ধারে হাত সেনা, বায়ুসেনার:
দুর্গতদের উদ্ধারে লাগাতার কাজ করেছে কাছাড় জেলা প্রশাসন। পাল্লা দিয়ে জারি ত্রাণের কাজ। প্যাকেটবন্দি খাবার, পানীয় জলের বোতল ও অন্য়ান্য জরুরি সামগ্রী যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে বায়ুসেনা। পুরো প্রক্রিয়ায় হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। নেমেছে সেনা। 
চারদিক জল থৈ থৈ অসমে ভরসার হাত অনেকগুলো। দুর্গত বাসিন্দাদের কাছে আশার কথা বলতে এটুকুই। 


আরও পড়ুন: দেশে আজও ১৬ হাজার ছুঁইছুঁই করোনা সংক্রমণ, বাংলাতেও করোনাগ্রাফে লাফ