নয়াদিল্লি: দীনদয়াল উপাধ্যায়ের পূণ্যতিথিতে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। প্রধানমন্ত্রী মোদি অম্বেডকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বিজেপি এই উপলক্ষ্যে  আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে রাজনীতি নয়, দেশের স্বার্থই অগ্রাধিকার। সরকার চালানো নয়, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।


বিজেপি পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মৃত্যুদিবস ‘সমর্পণ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের ভাবধারায় রাজনীতির পাঠ ও রাষ্ট্রনীতির পরিভাষা সেখানো হয়। আমাদের রাজনীতিতে দেশের স্বার্থই অগ্রাধিকারের বিষয়।যদি রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতির মধ্যে কোনও একটি বেছে নিয়ে হয়, তাহলে আমাদের শিক্ষা অনুসারে রাষ্ট্রনীতিকেই বেছে নেব। রাজনীতি এর পরের সারিতে থাকবে।


পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়কে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আপনারাও অনুভব করেছেন যে, আমরা যখনই দীনদয়ালজি নিয়ে ভাবি, বলি ও শুনি, তখন তাঁর ভাবধারা নতুনভাবে অনুভূত হয়। একাত্ম মানব দর্শনের তাঁর চিন্তাধারা সমস্ত মানুষের জন্যই ছিল। এজন্য যখন মানবতার সেবার প্রশ্ন  আসে, মানবতার কল্যাণের প্রসঙ্গ আসে, তখনই দীনদয়ালজির একাত্ম মানব দর্শন প্রাসঙ্গিক থাকবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনাকালে দেশ অন্তোদ্যয়ের ভাবনা সামনে রেখেছিল ও সমাজের প্রান্তিক দরিদ্রদের কথা চিন্তা করছিল।


আত্মনির্ভরতার শক্তি থেকে দেশ একাত্ম মানব দর্শন পালন করেছে এবং সমগ্র বিশ্বকে ওষুধ পাঠিয়েছে। আর এখন ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে। স্থানীয় অর্থনীতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি এই কথা প্রমাণ করে যে, তাঁর চিন্তাভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত ও ব্যাপক ছিল। বর্তমানে ভোকাল ফর লোকাল মন্ত্রের মাধ্যমে এই দৃষ্টিভঙ্গিকে দেশ বাস্তব রূপ দিয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকতে পারে, আমাদের ভাবধারা আলাদা হতে পারে, আমরা পূর্ণ শক্তিতে একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করতে পারি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সম্মান করব না। প্রণব মুখোপাধ্যায়, তরুণ গগৈ,এসসি জমিরদের মতো অনেক রাজনৈতিক নেতা আমাদের দলে বা জোটের অংশ কখনও ছিলেন না। কিন্তু দেশের প্রতি তাঁদের অবদানকে আমরা সম্মান করা আমাদের কর্তব্য।