নয়াদিল্লি:  রাজধানীতে বাতাসের গুণমান (Delhi Air Quality/AQI) একধাক্কায় ফের নেমে এল অনেকটাই। ২৪ ঘণ্টা আগেও দিল্লিতে বাতাসের গুণমান যেখানে ৩৮৭ ছিল। শুক্রবার সকালে তা ৪২৫-এ এসে ঠেকল। ফলে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লির বাতাস ফের মারাত্মক হয়ে উঠল। সকাল সাড়ে ৬টার হিসেব অনুযায়ী, দিল্লির বাতাস শ্বাস নেওয়ার পক্ষে উপযুক্ত নয় বলে জানাল সিস্টেম এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (সফর)। তাপমাত্রার পারদ পতন এবং বায়ু চলাচলে বাধা, এই দুইয়ের জেরেই দিল্লির বাতাস বিষাক্ত হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।


সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বাতাসের গুণমান ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে উত্তম। ৫১ থেকে ১০০-র মধ্যে থাকলে সন্তোষজনক। বাতাসের গুণমান ১০১ থেকে ২০০-র মধ্যে থাকলে তা মোটামুটি অবস্থায় চলে আসে। কিন্তু সূচক ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে ক্ষতিকর, ৪০০-র মধ্যে থাকলে অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে মারাত্মক বলে বিবেচিত হয়।


সেই নিরিখে দিল্লির বাতাস স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দিন সকালে দিল্লি ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন এলাকায় বাতাসের গুণমান ৫২৯-এ এসে ঠেকে।  পুসা, লোধি রোড, মথুরা রোড, আইআইটি দিল্লি এবং ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩ সংলগ্ন এলাকায় তা নেমে আসে যথাক্রমে ৪২১, ৩৯৯, ৫২০, ৩৭৭ এবং ৩৮৫-তে।



আরও পড়ুন: Kanya Sumangla Yojana: ১৫,০০০টাকা আসবে অ্যাকাউন্টে, বাড়িতে কন্যা থাকলেই সুখবর !


শুধু রাজধানীই নয়, তার সংলগ্ন নয়ডা এবং গুরুগ্রামের অবস্থাও তথৈবচ। শুক্রবার সকালে নয়ডার বাতাসের গুণমান ৫৭০-এ রয়েছে। গুরুগ্রামে তা ৩৭৫।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই জানান, গ্রিন দিল্লি আবেদনপত্রের মাধ্যবে দূষণ নিয়ে ৩৪ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে তাঁদের কাছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার অভিযোগের সুরাহা হয়েছে। দিল্লির ১১টি জেলায় রাত্রিকালীন টহল শুরু হয়েছে, যাতে নির্মাণ সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের উপর নজরদারি চালানো যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও দিল্লির বাতাসে বিষক্রিয়া ঠেকানো যাচ্ছে না।